আসছেন পাক প্রতিনিধিরা, দ্রুত চুক্তি ভারতের সঙ্গে! ‘কথা না শুনলে…’, হুমকি ট্রাম্পের

আসছেন পাক প্রতিনিধিরা, দ্রুত চুক্তি ভারতের সঙ্গে! ‘কথা না শুনলে…’, হুমকি ট্রাম্পের

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়ার পরও নিজের অবস্থানেই অনড় ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফের একবার ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামানোর দাবি করেলন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একই সঙ্গে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন দু’দেশকে। আগামী সপ্তাহে নাকি আমেরিকায় যাবে পাক প্রতিনিধি দল। দ্রুত ভারতের সঙ্গেও চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে তাঁর প্রশাসন। কিন্তু দু’দেশ যদি ফের সংঘাতে জড়ায়, তাহলে তিনি আর কোনও চুক্তিই করবেন না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, দিল্লির আপত্তি স্বত্বেও বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়ে কি কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবেন ট্রাম্প?  

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আমেরিকার মসনদে সরকারের ‘অপব্যয়’ কমাতে ‘ডিপার্মেন্ট অফ গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (DOGE) নামে একটি নতুন দপ্তর খুলেছেন ট্রাম্প। যার মাথায় বসিয়ে ছিলেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ককে। তবে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। একদিন আগেই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের প্রশাসন ছাড়েন তিনি। গতকাল শুক্রবার ওভাল অফিসে মাস্ককে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের নেতাদের পাশাপাশি আমাদের জনগণকেও ধন্যবাদ। আমরা বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু এটাও জানিয়ে দিয়েছি, যারা একে অপরকে গুলি করে তাদের সঙ্গে আমরা বাণিজ্য করি না। বিশেষ করে যাদের হাতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতা আছে।”

ফের একবার ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামানোর দাবি করে এদিন ট্রাম্প বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের রাষ্ট্রনেতারা খুবই ভালো। তাঁরা বিষয়টি বুঝেছেন এবং সম্মত হয়েছেন। সংঘাত থামাতে রাজি হয়েছেন। আমরা অন্যদের মধ্যেও লড়াই থামিয়েছি। অন্যদের থেকে লড়াই করার ক্ষমতা আমাদের অনেক বেশি। বিশ্বের সেরা সেনাবাহিনী আমাদের হাতে আছে। কিন্তু আমরা সংঘাত চাই না।”

এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়, “আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল আমেরিকায় আসছে। ভারতের সঙ্গেও চুক্তি স্বাক্ষরের খুব কাছাকাছি আছি আমরা। কিন্তু দুই দেশ যদি ফের সংঘাতের পথে হাঁটে তাহলে আমরা কোনও চুক্তিই করব না। আমি মনে করি, ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারলে সবচেয়ে বেশি গর্বিত হব। আমরা সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি বাণিজ্যের মাধ্যমে, বুলেটের মাধ্যমে নয়। আপনি জানেন, অনেকেই সাধারণত বুলেটকে বেছে নেন। কিন্তু আমরা বাণিজ্যকে বেছে নিয়েছি। তাই আমি এটা নিয়ে খুব গর্বিত। কেউ এটা নিয়ে কথা বলে না।”

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সংসদীয় কমিটি সদস্যরা বিদেশসচিব বিক্রম মিসরির কাছে জানতে চান, ট্রাম্প বারবার দাবি করছেন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি করানোর। কেন্দ্র কেন এই বিষয়ে চুপ রয়েছে? কেন ভারত একই দাবি বারবার করার সুযোগ দিচ্ছে ট্রাম্পকে? তিনি নিজের বক্তব্যে কেন কাশ্মীরকে টেনে আনছেন? এর উত্তরেই মিসরি সাফ জানিয়ে দেন, “ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হয়েছে কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যে। এখানে কোনও তৃতীয়পক্ষ হস্তক্ষেপ করেনি। সংঘর্ষবিরতিতে আমেরিকারও কোনও দিক দিয়ে কোনও ভূমিকা ছিল না।”

প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। পহেলগাঁও হামলার ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “ভারত আর পাকিস্তান দু’জনেই আমার খুব কাছের। আমার বন্ধু। কাশ্মীরে তাদের লড়াই ১০০০ বছর ধরে চলে আসছে। এই লড়াই আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। এছাড়া ওই সীমান্তে ১৫০০ বছর ধরে উত্তেজনা তৈরি হয়ে আছে।” যা নিয়ে নানা বিতর্কও হয়। কিন্তু বিদেশসচিবের কথাতেও স্পষ্ট হয়ে যায়, নিজেদের সমস্যা সমাধান ভারত নিজেই করতে পারে। কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। তা সে ‘বন্ধু’ আমেরিকাই হোক না কেন। ফলে ট্রাম্প যতই বাণিজ্য চুক্তির হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তান কিংবা কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলানোর চেষ্টা করুন দিল্লি সেটা মেনে নেবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *