আলাপন সাহা: রজত পাতিদার ইম্প্যাক্ট সাব হিসেবে খেলছেন। যার ফলে আরসিবির অধিনায়কত্বের ব্যাটন সামলাতে হচ্ছে জিতেশ শর্মাকে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন। ওই ইনিংস না হলে আরসিবি লিগ টেবিলে প্রথম দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলত কি না সেটা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে। ওই ইনিংসের পর ভারতীয় ক্রিকেটমহলেও জিতেশকে নিয়ে ভালোরকম চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশ্য জিতেশকে নিয়ে আলোচনার আরও একটা কারণও রয়েছে। আসন্ন ঘরোয়া মরশুমে দলবদল করার পথে বিদর্ভের এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
যা শোনা যাচ্ছে, তাতে জিতেশকে ঘরোয়া ক্রিকেটে আর বিদর্ভের হয়ে খেলতে দেখা না-ও যেতে পারে। পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছে। কারণ জিতেশ ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন তিনটে ফরম্যাটেই নিয়মিত খেলতে চান। যে সুযোগ তিনি বিদর্ভে পাচ্ছেন না। বিদর্ভ ক্রিকেটমহলে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, টিম ম্যানেজমেন্ট জিতেশকে শুধু সাদা বলের ক্রিকেটেই খেলাবে। জিতেশের উপর একটা তকমা সেঁটে দেওয়া হচ্ছে। সেটা হল-তিনি শুধু সাদা বলের ফরম্যাটে খেলতে স্বচ্ছন্দ। লাল বলে ক্রিকেটে জিতেশ তেমন সাবলীল নয়। যার ফলে শেষ কয়েক বছর তাঁকে শুধু টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ান ডে’তে খেলানো হয়। রনজিতে সেভাবে সুযোগ দেওয়া হয় না।
শোনা গেল, এমনিতে জিতেশের নিজ রাজ্য ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে খেলার খুব একটা ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু তিনি একটা ব্যাপার বুঝে গিয়েছেন, বিদর্ভে থাকলে তিনি রনজিতে নিয়মিত সুযোগ পাবেন না। কারণ নির্বাচক থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট লাল-বলের ক্রিকেটে তাঁকে সেভাবে কেউ ভাবছেন না। গত বছর রনজিতে সুযোগ পাননি। তার আগের মরশুমে রনজিতে শুধু একটা ম্যাচ খেলেছিলেন জিতেশ। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধ। দশ বছর আগে রনজি অভিষেক হয়েছিল জিতেশের। এই দশ বছরে মাত্র ১৮ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। তাই এবার অন্য রাজ্যের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলেই খবর। একইসঙ্গে চর্চা চলছে ধ্রুব শোরে-কে নিয়েও। দিল্লি থেকে বিদর্ভে এসেছিলেন ধ্রুব। গত দু’বছর তাঁর পারফরম্যান্স বেশ ভালো। কিন্তু ধ্রুবকেও এবার বিদর্ভের হয়ে খেলতে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।