‘আমাকে ছাড়া ট্রাম্প জিততেই পারতেন না’, বিস্ফোরক এলন মাস্ক

‘আমাকে ছাড়া ট্রাম্প জিততেই পারতেন না’, বিস্ফোরক এলন মাস্ক

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প ও এলন মাস্কের সম্পর্কের ফাটল ক্রমেই চওড়া থেকে আরও চওড়া হচ্ছে! গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের বিলের সমালোচনা করে প্রশাসনিক উপদেষ্টার পদ ছেড়েছিলেন টেসলা কর্তা। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হতাশার সুরে বলেছিলেন, ”মাস্কের আচরণ হতাশাজনক।” এবার পালটা এলন মাস্ক দাবি করলেন, তাঁকে ছাড়াই জিততে পারতেন না ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের দখল নিতেন ডেমোক্র্যাটরা।

এক্স হ্যান্ডলে মাস্ক লিখেছেন, ‘আমাকে ছাড়া ট্রাম্প নির্বাচনে লড়লে হারতেন। ডেমোক্র্যাটরা হাউসের দখল নিতেন। এবং রিপাবলিকানরা সেনেটে ৫১-৪৯ অবস্থানে থাকতেন।’ স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এহেন পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। চর্চা শুরু ওয়াকিবহাল মহলে। জবাবে ট্রাম্প কী বলেন সেদিকেও তাকিয়ে সকলে।



বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”দেখুন, আমার আর এলনের মধ্যে সম্পর্কটা দারুণ ছিল। কিন্তু আমি জানি না আমরা আর তেমন থাকব কিনা।” সেই সঙ্গেই হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ”আমি অত্যন্ত হতাশ এলনকে নিয়ে।”

অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মার্কিন মসনদে বসার পর শীর্ষ উপদেষ্টার পদ দিয়েছিলেন ‘বন্ধু’ এলন মাস্ককে। তার আগে ট্রাম্পের নির্বাচনী সভায় মঞ্চে দেখা যায় মাস্ককে। সেখানে বাইডেনকে বিঁধে বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার জয়ধ্বনি দেন তিনি। দাবি করেন, আমেরিকার গণতন্ত্রকে রক্ষা করতেই ট্রাম্পকে জেতানো জরুরি। তিনি সকলকে সতর্ক করে বলেন, এবার ট্রাম্প না জিতলে এটা হবে আমেরিকার শেষ নির্বাচন। সাত মিনিটের ভাষণ শেষে তিনি স্লোগান দেন, ”ফাইট ফাইট ফাইট! ভোট ভোট ভোট!” কিন্তু সেই ট্রাম্পই মসনদে বসতে না বসতেই দু’জনের সম্পর্ক এই জায়গায় পৌঁছবে তা কার্যতই অকল্পনীয় ছিল।

যা চূড়ান্ত আকার নিয়েছে ট্রাম্পের বিল নিয়ে মাস্কের মন্তব্যের পর। তিনি বলেন, ”কোনও বিল বিগ হতেই পারে। আবার সেটা বিউটিফুলও হতে পারে। কিন্তু আমার জানা নেই একসঙ্গে দুটোই হতে পারে কিনা। এই বিল ইতিমধ্যেই বিপুল আকার ধারণ করা বাজেট ঘাটতিকে আরও বাড়িয়ে ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পরিণত করবে। কংগ্রেস আমেরিকাকে দেউলিয়া বানিয়ে ছাড়বে।” স্বাভাবিক ভাবেই এমন মন্তব্যকে ভালোভাবে নেননি ট্রাম্প। যদিও মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ কর্মকর্তারূপে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৩০ দিনের জন্য। ট্রাম্প সেই মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাস্কও একদিন আগে পদত্যাগ করেছেন। তারপরই ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন। আগামিদিনে এই সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *