অর্ণব দাস, বারাকপুর: আড়িয়াদহের ত্রাস জেলবন্দি জয়ন্ত সিংয়ের দলবলের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগের আবহে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন অন্যতম সাক্ষী বিমল পাঁজা। জয়ন্তের এক শাগরেদ সুশোভনকে মারধরের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ সুশোভনের সঙ্গে বিমলের বচসা বাঁধে। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। তখনই সুশোভনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে ‘আক্রান্ত’ সুশোভনের বাবা স্বপনকুমার সরখেল সোমবার রাতে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিমলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার তাঁকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ‘আক্রান্ত’ সুশোভন বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে শয্যাশায়ী অবস্থায় সাক্ষীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, “ঘটনার রাতে আমি বাইকে আড়িয়াদহ মাঠের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আচমকাই আমার উপর হামলা চালানো হয়। বিমল পাঁজারা আমাকে ধরে গলিতে নিয়ে যায়। বন্দুকের বাট, লোহার রড দিয়ে আমায় মারে। আমার চোখে, মাথায়, কপালে আঘাত লেগেছে। চোখ থেকে রক্ত বেরিয়েছিল। কপালে দু’টি সেলাই পড়েছে।”
যদিও এদিন আদালতে পেশ করার সময় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিমল পাঁজা। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, “আমি কাউকে মারধর করিনি। জয়ন্ত সিংয়ের কেসকে দমানোর জন্য আমাকে ধরেছে। কারণ আমি প্রধান সাক্ষী।” এনিয়ে তাঁর আইনজীবীর সুপ্রিয় মজুমদার জানিয়েছেন, “আমার মক্কেল বিমল পাঁজা থানায় হুমকির অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সেই অভিযোগ নেয়নি। এনিয়ে পুলিশ কমিশনারের অফিসে বিমলবাবু অভিযোগ জানাতে গেলে ঠিক গেটের সামনে থেকে পুলিশ কিছু না বলেই তাদের ধরে নিয়ে যায়।” তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “বিমল পাঁজা যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে যখন থানায় গিয়েছিলেন বা ঘটনার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার না করে, এভাবে কেন গ্রেপ্তার করা হল। সিসি ক্যামেরার সম্পূর্ণ ফুটেজ খতিয়ে দেখলে সত্যি সামনে আসবে।”