বাবুল হক, মালদহ: কেরলে কাজে গিয়ে মৃত্যু বাংলার তিন পরিযায়ী শ্রমিক। সেখানে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনেরই। তাঁদের প্রত্যেকেরই বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগরে। জুম্মাবারেই বাড়িতে পৌঁছল শোকবার্তা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তিন পরিযায়ীর দেহ ফেরানো হচ্ছে মালদহে।
মৃতদের নাম আলিম শেখ (৩০), রবিউল ইসলাম (২১) ও রবিউল শেখ (১৯)। তাঁরা বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। কোরবানি ইদের পর কেরলের ত্রিশূর জেলায় দিন মজুরের কাজে গিয়েছিলেন। নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে তাঁরা সেখানে দিনমজুরি করছিলেন। একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িটিই ধসে পড়ে বলে খবর। ওই বাড়িতে সাধারণত বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরাই ভাড়া থাকতেন। ঘটনার সময় বাড়িটিতে প্রায় ১২ জন শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিলেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালদহের তিন শ্রমিকের। দমকল ও পুলিশ বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে।
আলিমের স্ত্রী হুসনেআরা বিবি তিন সন্তানকে পাশে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “আমাদের পথে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেল। তিন সন্তানকে কীভাবে মানুষ করব।” মৃত রবিউল ইসলামের বাবা ফিরোজ আলি বলেন, “কয়েকদিন কাজ করে কিছু টাকা জমিয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল। ছেলেটা আর ফিরে আসবে না।” কেরালায় যাওয়ার আগেও স্থানীয় হাটে দিনমজুরি করতেন রবিউল শেখ। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যাওয়াটাই যেন কাল হয়ে গেল! তাঁর হতভাগ্য বাবা আবদুল মান্নান বলেন, “কিছু উপার্জনের জন্য গিয়েছিল। কিন্তু সইল না। ছেলেটা লাশ হয়ে ফিরবে ভাবতেই পারছি না।” কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের বিডিও সুকান্ত সিকদার জানান, “রাজ্য সরকারের তরফে ওই তিন শ্রমিকের দেহ আনা হচ্ছে।পরিবারগুলিকে সাহায্য করা হবে।”