পাকিস্তান: ১৩৫/৮ (হ্যারিস ৩১, নওয়াজ ২৫, তাসকিন ২৮/৩)
বাংলাদেশ: ১২৪/৯ (শামিম ৩০, শাহিন ১৭/৩, হ্যারিস ২৩/৩)
১১ রানে জয়ী পাকিস্তান।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচটা কার্যতই ছিল সেমিফাইনাল। ভারত পৌঁছে গিয়েছে ফাইনালে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা বিদায় নিয়েই ফেলেছে। ফলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে যে জিতবে সেই দলই যে ফাইনালে যাবে, তা প্রথম থেকেই পরিষ্কার ছিল। ফলে কম স্কোর করেও পাকিস্তান যে বিনা যুদ্ধে ‘সূচ্যগ্র মেদিনী’ দেবে না সেটা বোঝাই গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের অল্প স্কোর টপকাতে না পেরে বিদায় নিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ ফাইনালে ফের দেখা যাবে সেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার ছবি। ভারত বনাম পাকিস্তান।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে খেলানো দলে তিনটি পরিবর্তন করা হয়। এদিকে লিটন দাস আজও না খেলায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলান জাকের আলি। শুরুতেই সাহেবজাদা ফারহানকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র চার বল! এই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি পাকিস্তান। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। ৭১ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর অবশ্য কিছুটা লড়াইয়ে ফেরে পাকিস্তান। কিন্তু কখনওই মনে হয়নি তাদের পক্ষে বড় স্কোর করা সম্ভব নয়। তবে যথাসাধ্য লড়লেন মহম্মদ হ্যারিস (২৩ বলে ৩১, ২x৪, ১x৬) ও মহম্মদ নওয়াজ (১৫ বলে ২৫, ১x৪, ২x৬)। শেষ ১০ ওভারে এ ৮৯। শেষ ৪ ওভারে রান উঠল ১০ রানেরও বেশি ওভার পিছু গড় রেখে। তবুও শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৩৫। তাসকিন (২৮/৩) ছাড়াও ভালো বল করেন মেহেদি হাসান (২৮/২) ও রিশাদ হোসেন (১৮/২)।
পাকিস্তানের ইনিংসের মতোই বাংলাদেশও প্রথম ওভারেই উইকেট হারাল। পাকিস্তান হারিয়েছিল চতুর্থ বলে। বাংলাদেশ পঞ্চম বলে। শাহিন আফ্রিদির বলে মহম্মদ নওয়াজের দুরন্ত ক্যাচে ফিরলেন পারভেজ (০)। লক্ষ্য যদিও খুব বেশি নয়, কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের যে তা পেরতে চ্যালেঞ্জের মধ্যেই পড়তে হবে, সেটা পরিষ্কার হয়ে যায় তখনই। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। প্রথম দশ ওভারের শেষে দেখা যায় বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৫৮/৪। পরিসংখ্যান বলছে পাকিস্তানও এই সময় ৪ উইকেট হারিয়েছিল। কেবল রানসংখ্যা বাংলাদেশের থেকে ১২ রান কম ছিল। এমনই হাড্ডাহাড্ডি পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায়।
৬৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাইম আয়ুবকে তুলে মারতে গিয়েছিলেন মহম্মদ নাওয়াজ। লং অফে ক্যাচ নেন নুরুল হাসান। এই উইকেটের পতনের সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা গিয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য কার্যতই একটা পেন্ডুলামের মতো এপাশ ওপাশ করতে করতে এবার হয়তো পাকিস্তানের দিকেই ঢলে পড়েছে। বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাটিং লাইন আপের শেষটা এরপর দ্রুতই সাফ করে দেয় পাকিস্তান। শেষ ১২ বলে করতে হত ৩৩ রান। হাতে একটা উইকেট থাকলেও মিরাকেলের আশা হয়তো তখনও করছিলেন বাংলাদেশ সমর্থকরা। রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে চারও মারলেন। শেষ ওভারে বাকি ছিল ২৩ রান। শেষ তিন বলে ১৮! রিশাদ হোসেন ছয় মারলেন। লং অনের উপর দিয়ে বলটা উড়ে যেতেই বাংলাদেশি সমর্থকরা ভাবতে থাকেন, যদি শেষ দুই বলেও… কিন্তু তা হয়নি। শেষ দু’টি বল ডট। ১১ রানে ম্যাচ জিতে শেষ হাসি হাসল পাকিস্তান।