নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অবিলম্বে লোকসভার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। টানা দু-বার লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদটি খালি পড়ে রয়েছে। আর সেটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো লক্ষণ নয় বলে চিঠিতে দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা।
খাড়গে চিঠিতে লিখেছেন, “স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার টানা দু-বার লোকসভার এই পদটি শূন্য রয়েছে। ১৭তম লোকসভায় কোনও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হননি। এই উদ্বেগজনক উদাহরণ বর্তমান ১৮তম লোকসভাতেও অব্যাহত রয়েছে। এটি ভারতের সংসদীয় গণতান্ত্র জন্য ভালো লক্ষণ নয় এবং সংবিধানের নীতি লঙ্ঘন করে।”
রীতি অনুযায়ী ডেপুটি স্পিকার পদটি অতীতে বরাবরই বিরোধিদের দেওয়া হয়েছে। যাতে সংসদে ভারসাম্য ও নিরপেক্ষতা বজায় থাকে। তবে, এটি কোনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নয়। তবে শেষ দুবার মোদি সরকার ওই পদে কোনও নির্বাচনই করায়নি। দেশে শেষবার ১৬ তম লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার হিসেবে এআইডিএমকে-র ততকালীন সাংসদ থাম্বিদুরাইকে দেখা গিয়েছিল। তারপর ১৭ তম লোকসভা এবং বর্তমানে ১৮তম লোকসভাতেও ডেপুটি স্পিকারের পদটি খালিই পড়ে রয়েছে। বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বহুবার ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের দেওয়ার জন্য দাবি করা হলেও মোদি সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।
খাড়গে তাঁর চিঠিতে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অবিলম্বে করার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, “ভারতীয় সংবিধানের ৯৩ নম্বর অনুচ্ছেদে লোকসভার স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার উভয়ের নির্বাচনের বিধান রয়েছে। সাংবিধানিকভাবে, ডেপুটি স্পিকার হলেন স্পিকারের পরে সভার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সভাপতিত্বকারী ব্যক্তি। পূর্ববর্তী বিষয়গুলি মাথায় রেখে এবং সংসদের সম্মানিত ঐতিহ্য এবং আমাদের সংসদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে কোনও বিলম্ব ছাড়াই লোকসভার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করুন।”