স্টাফ রিপোর্টার: তিনি যখন খেলা শুরু করেছিলেন, ভারতে মহিলা ক্রিকেট নিয়ে তেমন কোনও প্রচার ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলেছে। পুরুষদের মতো মহিলা ক্রিকেট এখন বেশ ভালোরকম জনপ্রিয়। ভারতীয় বোর্ড পুরুষ আর মহিলা ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি সমান করে দিয়েছে।
ক্রিকেটের বিভিন্ন রাজ্যসংস্থাগুলো ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করেছে। সিএবি যেমন একবছর আগে প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করেছে। এবার বিদর্ভের ক্রিকেট সংস্থাও শুরু করতে চলেছে টি-টোয়েন্টি লিগ। সিএবির মতো সেখানেও ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের লিগ হবে। সেই লিগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হয়েছে বাংলার ঝুলন গোস্বামীকে। ছেলেদের বিভাগে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন উমেশ যাদব। বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ঝুলনকে। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে ঝুলনের অবদান অস্বীকার্য। চাকদহ থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে ঝুলনের উত্থানের কাহিনিও প্রচণ্ড অনুপ্রেরণার। ঝুলনকে বিদর্ভ প্রিমিয়ার লিগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার পিছনে এটাও বড় একটা কারণ। ছেলেদের লিগে ছ’টা টিম থাকছে। মেয়েদের বিভাগে তিনটে টিম থাকছে।
ঝুলন বলছিলেন, “ওদের তরফ থেকে প্রথমে প্রস্তাব পাওয়ার পর আমি জানতে চেয়েছিলাম আমার ভূমিকা ঠিক কী হবে। তারপর ওদের সম্মতি জানাই।”
মহিলা ক্রিকেটের যেমন উত্থান হচ্ছে, তাতে খুশি ঝুলন। সিএবি গতবছর থেকে ক্লাব ক্রিকেট শুরু করেছে। গতবার যে সংখ্যক ক্লাব খেলেছিল, এবার সেই সংখ্যাটা আরও অনেক বেড়েছে। সিএবি কর্তাদের আশা, সামনের মরশুমে আরও অনেক বেশি ক্লাব মহিলা ক্রিকেটে খেলবে।
ঝুলন বলেন, “এখন যেভাবে মহিলা ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ আরও বাড়ছে, সেটা দারুণ। সিএবি ক্লাব ক্রিকেট শুরু করেছে। এখানে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি লিগ হচ্ছে। অন্য রাজ্যসংস্থাগুলোও টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করছে। যে যেভাবে পারছে মহিলা ক্রিকেট নিয়ে উন্নয়ন করছে। ভারতীয় বোর্ডের কথা আলাদা করে বলতে হবে। এর ফলে মহিলা ক্রিকেট নিয়ে আরও উন্মাদনা বাড়বে। আরও বেশি করে মেয়েরা উঠে আসবে।”