সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে প্রতি ৩৯টি শিশুর মধ্যে একজন অটিজমে আক্রান্ত। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার একটি জটিল স্নায়বিক রোগ যা শিশুদের বিকাশের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার নিয়ে লড়াই করতে থাকা পরিবারগুলির জন্য একটি আশার আলো দেখাচ্ছেন ডিসান হাসপাতাল। ডিসানের সঙ্গে রয়েছে বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক বিহেভিয়ার মোমেন্টাম ইন্ডিয়া (BMI)। সম্প্রতি বিশ্ব অটিস্টিক প্রাইড ডে ২০২৫ উপলক্ষে এই দুই অগ্রণী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পূর্ব ভারতে অটিজম ইন্টারভেনশন চালু করেছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের থেরাপি ও সহায়তা প্রদান করা হবে যাতে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়ে সমাজে মূল স্রোতে ফিরতে পারে।
পূর্ব ভারতে এই পরিষেবার অভাব ছিল বহুদিন ধরে। এবার সেই অভাব পূরণ করতে এগিয়ে এসেছে মাইন্ডস্পেস একাডেমি, ডিসান হাসপাতাল ও BMI-এর একটি যৌথ উদ্যোগ।
BMI-এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ স্মিতা অবস্থি (BCBA-D) জানিয়েছেন, “এই প্রচেষ্টা শুধু একটি নতুন থেরাপি চালু করা নয়। এটি অটিজমের প্রতি একটি বিজ্ঞান-ভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তি স্থাপন করেছে।” ডিসান হাসপাতালের নিউরোডেভেলপমেন্টাল ইনিশিয়েটিভসের ডিরেক্টর শাওলি দত্ত জোর দিয়ে বলেছেন, “অটিস্টিক শিশুদের পরিবারগুলো যাতে অসহায়তা অনুভব না করেন সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।”
২০২৫ সালের মে মাস থেকে মাইন্ডস্পেস একাডেমি ইতিমধ্যেই অসংখ্য পরিবারকে সাহায্য করেছে। অভিভাবকরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে জানিয়েছেন, “আগে সম্পূর্ণ একা অনুভব করতাম। এখন জানি আমার সন্তান এমন একটি পরিষেবা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, যাদের চিকিৎসা পদ্ধতি শুধুমাত্র রোগীর রোগের লক্ষণগুলিকে নিয়ে নয়, বরং সম্পুর্ন মানুষটিকে নিয়ে।” সফলভাবে ABA থেরাপি গ্রহণ করে সামাজিক জীবনে ফিরে আসা সম্পূর্ণ সুস্থ তিনজন অটিস্টিক শিশুকে এই অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানানো হয়। ভবিষ্যতের জন্য মাইন্ডস্পেস একাডেমির একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে।
ডিসান হাসপাতাল ও BMI-এর এই উদ্যোগ পূর্ব ভারতে অটিজম পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করল। এই প্রগতিশীল পদক্ষেপের মাধ্যমে হাজার হাজার পরিবার উপকৃত হবেন। অটিস্টিক শিশুরা পাবে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন