হিন্দুদের উৎসবের দিনই কেন শুভেন্দুর কর্মসূচি? ‘ভেজাল হিন্দু’, কটাক্ষ তৃণমূলের

হিন্দুদের উৎসবের দিনই কেন শুভেন্দুর কর্মসূচি? ‘ভেজাল হিন্দু’, কটাক্ষ তৃণমূলের

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: রাখী বন্ধনের দিন অভয়া ইস্যুতে নবান্ন অভিযান। কয়েকটা দিন যেতেই শনিবার ‘গ্রেট ক‌্যালকাটা কিলিং’ স্মরণে মিছিল! একের পর এক হিন্দু ধর্মের উৎসবের দিনগুলিতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ঘিরে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। রাখীর পাশাপাশি জন্মাষ্টমী, হিন্দুদের পবিত্র অনুষ্ঠানের দিনগুলিতেই বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই দিনগুলিতে রাজনীতিকরণের চেষ্টা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির অন্দরমহলও শুভেন্দুর ডাকে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। মুখে হিন্দু ধর্মের কথা বলেও হিন্দুদের উৎসবের দিন জনজীবন ব‌্যাহত করে শুভেন্দুর ডাকে মিছিল কেন তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরেও প্রশ্ন রয়েছে।

রাখী বন্ধনের দিন নবান্ন অভিযান করেছিলেন শুভেন্দু। আবার শনিবার জন্মাষ্টমীর দিন কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘গ্রেট ক‌্যালকাটা কিলিং’কে স্মরণ করাতে পথে নামেন তিনি। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জন্মাষ্টমীর দিন কলেজ স্কোয়ারে শুভেন্দুর মিছিল নিয়ে তৃণমূলের অন্যতম রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব‌্য, ‘‘রাখী পূর্ণিমার দিন নবান্ন অভিযান, জন্মাষ্টমীর দিন রাস্তা আটকে মিছিল। এরা ভেজাল হিন্দু, তৎকাল বিজেপি।’’

রাখী উৎসবের দিন শুভেন্দুর নবান্ন অভিযানে রাজ‌্য বিজেপির প্রথম সারির তথা পদাধিকারী কার্যত কেউই উপস্থিত থাকেননি। শমীক ভট্টাচার্য থেকে সুকান্ত মজুমদাররা রাখী বন্ধনে অংশ নিলেও শুভেন্দুর ডাকে নবান্ন অভিযান এড়িয়ে গিয়েছেন। আবার জন্মাষ্টমীর দিন ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস’-এর স্মৃতি উসকে দিয়ে পথে নামেন শুভেন্দু। উৎসবের দিন কলেজ স্কোয়ার অবরুদ্ধ করে মিছিল হয়। যদিও শুভেন্দুর ডাকে এই কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি শমীক-সহ বিজেপির রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের।

কলেজ স্ট্রিট থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত চলে মিছিল। ওঠে জয় শ্রীরাম স্লোগান। আদালতের তরফে সাড়ে সাতশো লোক নিয়ে মিলেছিল মিছিলের অনুমতি। মিছিলে শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন তাপস রায়, তমোঘ্ন ঘোষ-সহ বিজেপির উত্তর কলকাতার নেতারা। এরপর আলিপুরে শুভেন্দু উন্মোচন করেন গোপাল মুখোপাধ‌্যায়ের মূর্তি। সামনেই বিধানসভা ভোট, তার আগে এই ইস্যুতে শুভেন্দুর এই মিছিল রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শুভেন্দুর সাফ কথা, ১৯৪৬ সালের ঘটনা ২০২৫ সালে ফের একবার প্রাসঙ্গিক করে তোলার সময় এসেছে। আর সে কারণেই এই মিছিল। মিছিলে ছিলেন সাধু-সন্তরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *