উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ারের ছেলে জোহরান মামদানি চোখ টানছেন কার্যত গোটা বিশ্বের। কারণ নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জিতেছেন তিনি। মেয়র পদের জন্য চূড়ান্ত লড়াই নভেম্বরে হবে। কিন্তু এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে তাঁর পাঁচ বছর আগের একটি পোস্ট। পোস্টটিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘এরকমই মেয়র হওয়া উচিত।’ আর যাকে উল্লেখ করে তিনি এই কথাটি বলেছিলেন তিনি ছিলেন কেরালার তিরুবনন্তপুরমের ২১ বছর বয়সী মেয়র আর্যা রাজেন্দ্রন।
২০২০ সালে মাত্র ২১ বছর বয়েসে তিরুবনন্তপুরমের মেয়র পদে আসীন হয়েছিলেন তরুণ সিপিএম (CPM) নেত্রী আর্যা রাজেন্দ্রন। সেই সময় পুডুচেরি সিপিএমের পক্ষ থেকে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করা হয়েছিল। পোস্টটিতে বলা হয়েছিল, ‘কমরেড আর্যা রাজেন্দ্রন, বয়স ২১, তিরুবনন্তপুরমের নতুন মেয়র তিনি। তিনি সারা বিশ্বের মধ্যে বড় কোনও শহরের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হিসাবে দায়িত্ব নিলেন।’ আর এই পোস্টটিকেই রিপোস্ট করে জোহরান প্রশ্নত্তর পর্বের মতো একটি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে লেখা ছিল,‘এই মুহূর্তে নিউ ইয়র্ক শহরের ঠিক কেমন মেয়রের প্রয়োজন?’ এই প্রশ্নের জবাবে তিনি কমরেড আর্যা রাজেন্দ্রনের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
আর্যা রাজেন্দ্রন জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৯৯ সালে। ২০২০ সালে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনের নেতৃত্বের জন্য নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, তিনি মাত্র ২১ বছর বয়সে ভারতের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ মেয়র নির্বাচিত হন এবং মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের ২৭ বছর বয়সে নাগপুরের স্থানীয় সংস্থা পরিচালনার রেকর্ডও ভেঙে দেন তিনি। রাজেন্দ্রনের মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পর কমল হাসান, শশী থারুর এবং গৌতম আদানির মতো ব্যক্তিত্বরাও তার প্রশংসা করেছিলেন।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)(সিপিআই(এম))-র সদস্য আর্যা রাজেন্দ্রন ২০২০ সালে কেরালার স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনে মুদাভানমুগল ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হন। গণিতের স্নাতক রাজেন্দ্রন কেরালার প্রভাবশালী নায়ার সম্প্রদায়ের একজন বিশিষ্ট মুখ, যা তথাকথিত সাবর্ণ জাতিগুলির মধ্যে একটি। প্রসঙ্গত, রাজেন্দ্রনের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় সিপিআই(এম)-এর শিশু শাখা বালাসঙ্ঘমে যোগদানের মাধ্যমে। পরে তিনি এর রাজ্য সভাপতি হন। তিনি স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SFI)-র রাজ্য কমিটির সদস্য এবং তিরুবনন্তপুরমের চালায় অঞ্চলের দলীয় এলাকা কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি বর্তমান কেরালা বিধানসভার সিপিআই (এম)-এর সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক শচীন দেবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।