নয়াদিল্লি: ভারতীয় দল থেকে বেশ কিছুদিন হল বাইরে। যদিও বরাবরই খবরের শিরোনামে যুযবেন্দ্র চাহাল। ক্রিকেট কেরিয়ার, বিতর্ক হোক বা ব্যক্তিগত জীবন- প্রচারে থেকেছেন। এবার জোড়া চাঞ্চল্যকর দাবি ভারতীয় লেগস্পিনারের।
প্রাক্তন স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মার সঙ্গে ডিভোর্সের পর নাকি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন চাহাল। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলেছিলেন। ভেঙে পড়তে দেখেছিলেন বিরাট কোহলিকেও। মাঠে যতটা আগ্রাসী, ঠিক ততটাই আবেগপ্রবণ। যে রূপের স্বাক্ষী চাহালও।
এক পডকাস্টে এমন দাবি চাহালের। জানান, ২০১৯ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর গোটা দল ভেঙে পড়ে। বিরাটও। চাহাল বলেছেন, ‘আমি শেষ ব্যাটার ছিলাম। যখন বিরাটের পাশ দিয়ে নামছিলাম, তখন ওর চোখ চিকচিক করছিল। ম্যাচের পর সবার একই হাল। বিরাটকে দেখেছিলাম বাথরুমে গিয়ে কাঁদতে।’
ভারতীয় দলের জার্সিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির শেষ ম্যাচ। বিরাটের (১ রান করেন) মতো চাহালও (৬৭ রান দিয়ে ১ উইকেট) ব্যর্থ হয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ যে ম্যাচে। নিজের পারফরমেন্সের প্রসঙ্গ টেনে লেগস্পিনার বলেছেন, ‘মাহিভাইয়ের শেষ ম্যাচ। আজও আফসোস হয়, আরও একটু যদি ভালো বল করতাম। ১০-১৫ রান বেশি দিয়ে ফেলেছিলাম। আসলে সবসময় সবকিছু ঠিকঠাক হয় না।’
ব্যক্তিগত জীবনে গত কয়েক বছর ঝড় বয়ে গিয়েছে। ধনশ্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর অবসাদে ভুগছিলেন। একসময় আত্মহত্যার কথাও ভেেবছিলেন। চাঞ্চল্যকর দাবি করে চাহাল বলেছেন, ‘ওই ৪-৫ মাস অবসাদ ঘিরে ধরেছিল। ভিতরে ভিতরে উত্তেজনা কাজ করত। চোখের সামনে সবকিছু অন্ধকার হয়ে যেত। তখন আমার পাশে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা জানেন। সবার সঙ্গে এগুলি ভাগ করতাম না। আত্মহত্যার ভাবনাও ঘুরত। মাথা ঠিকঠাক কাজ করত না।’
রাতে ঘুম আসত না। মেরেকেটে ২-৩ ঘণ্টার ঘুম। বাকি সময় জেগে কাটানো, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতেন। ভালোবাসার ক্রিকেট থেকেও ক্রমশ নিজেকে সরিয়ে নেন। কোনও কিছুতেই মন বসাতে পারছিলেন না। একদা টি২০ ফর্ম্যাটে ভারতের সর্বাধিক উইকেটের মালিক চাহাল বলেছেন, ‘মাঠে নেমে ১০০ শতাংশ দিতে পারছিলাম না। তাই সাময়িক বিরতি নিই ক্রিকেট থেকে। সবকিছু থেকেও অদ্ভুত শূন্যতা। মনের মধ্যে সবসময় অস্থিরতা। ভাবতাম, এই জীবন রেখে কী করব?’
ধনশ্রীর সঙ্গে ডিভোর্সে অনেকে তাঁর দিকে আঙুল তুলেছেন। সমালোচকদের উদ্দেশে চাহালের দাবি, ‘আমি প্রতারক নই। সবসময় বিশ্বস্ত থেকেছি। আমার চেয়ে বিশ্বস্ত লোক পাবে না। সবসময় প্রিয়জনদের নিয়ে ভাবি। বদলে কারওর থেকে কখনও কিছু দাবি করিনি। যারা জানে না, এসব বলে। আর আমারও দুই বোন রয়েছে। জানি নারীদের কীভাবে সম্মান দিতে হয়।’