Well being | ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শুধু পায়ে ব্যথা? শরীরের নানান জায়গায় দেখা যায় উপসর্গ

Well being | ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শুধু পায়ে ব্যথা? শরীরের নানান জায়গায় দেখা যায় উপসর্গ

ব্লগ/BLOG
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মতই বাড়ছে ইউরিক অ্যাসিডও। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়লে সেখান থেকে একাধিক সমস্যার সূত্রপাত হয়। শরীরের বর্জ্য পদার্থ হল ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার হজমের ফলে সেখান থেকে বর্জ্য হিসেবে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। সোজা কথায় প্রোটিন বিপাকের ফলে শরীরে তৈরি হয়ে যায় ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরের ভিতরে থাকে। এই ইউরিক অ্যাসিড পরিমাণে বেড়ে গেলে তখনই সমস্যা বেশি হয়।

ইউরিক অ্যাসিড জমতে শুরু করলে প্রথমেই তার লক্ষণ পায়ে দেখা দেয়। পায়ের পাতা ফুলতে শুরু করে। আর ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে শুরু করলে ডায়াবেটিস, রক্তচাপের মত একাধিক সমস্যা এসে যায়। এই সব কিছুর জন্য কিন্তু দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা। অতিরিক্ত চাপ, খাদ্যাভ্যাস, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা সেখান থেকেই বাড়ছে এই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে থাকলে পরবর্তীতে সেখান থেকে কিডনির সমস্যাও আসতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ শুধুমাত্র পায়ে নয়, দেখা যেতে পারে কানেও। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা।

অনেক সময় কানের পিছনের দিকে সাবুদানার আকৃতিতে ছোট গোল দানা দেখা দেয়। যা কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডেরই লক্ষণ। এই দানা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লাল রঙের হয়। কানের পাশাপাশি কনুই, হাঁটু এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। চিকিৎসা পরিভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় টোফাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই লাল  দানায় কোনও রকম ব্যথা থাকে না।

এছাড়াও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় গাউট হয়। গাউট হলে পায়ের পুড়ো আঙুলে মূলত সমস্যা হয়। সেই জায়গাটি ফুলে থাকে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনিতে স্টোনের সম্ভাবনাও থেকে যায়। কারণ ইউরিক অ্যাসিডই কিডনির মধ্যে জমা হয়ে স্টোনের আকার নেয়। অনেক সময় পিঠে ব্যথার বা কোমরে ব্যথার সঠিক কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তখন রক্ত পরীক্ষা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। সিরাম ইউরিক অ্যাসিড টেস্টই হল এর উপযুক্ত পরীক্ষা। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭ এর নীচে এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ৬.৫ এর নীচে থাকা বাঞ্ছনীয়। এর থেকে বেশি হলেই তখন সমস্যা হয়।

সমস্যা এড়াতে যে সব খাবার এড়িয়ে চলবেন- 

রোজ প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে

দিনের মধ্যে অন্তত একবার একগ্লাস লেবুজল অবশ্যই খান

মাটন, চিংড়ি, সামুদ্রিক মাছ, হাই প্রোটিন, মুসুর ডাল, ডিমের কুসুম এসব এড়িয়ে চলতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খান। নিজের ইচ্ছেমত ওষুধ খাবেন না। বছরে অন্তত দুবার অবশ্যই ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করিয়ে নেবেন



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *