উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘দাগি’ চাকরিপ্রাপকদের নামের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (WBSSC)। জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ১৮০৮ জনের নামের তালিকা এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। নাম ও রোল নম্বর দিয়ে ৩৪ পাতার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তালিকায় যে সমস্ত ব্যক্তিদের নাম রয়েছে তাঁদের পাশে পরীক্ষার রোল নম্বর থাকলেও যে স্কুলে তাঁরা কর্মরত সেই স্কুলের নাম নেই।
বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসি-র ২০১৬ সালের নিয়োগের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩ এপ্রিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এই রায় দেয়। তাতে চাকরি যায় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে প্রায় ২৫,৭৩৫ জনের। আদালত জানিয়েছিল, সঠিক তথ্য না থাকায় যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথক করা সম্ভব হয়নি। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করতে হয়েছে। নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয় কমিশনকে। ‘দাগি’ হিসাবে যাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। যদিও রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি-কে জানিয়েছে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নজর রাখা হচ্ছে। কোনও ভুল-ত্রুটি হলেই হস্তক্ষেপ করা হবে। অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসলে ফল ভুগতে হবে। তবে এই পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। দাবি ছিল, তাঁরা যোগ্য, কিন্তু এখনও অনেক অযোগ্যকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ৭ দিনের মধ্যে অযোগ্য দাগি চাকরিপ্রাপকদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসির আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শীর্ষ আদালততে জানান তাঁরা সময়সীমার আগেই তালিকা প্রকাশ করবেন। সেই মতো এদিন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিন তালিকা প্রকাশ ঘিরেও একপ্রস্থ নাটক হয় এসএসসি দপ্তরে। প্রাথমিক ভাবে একটি তালিকা প্রকাশ করেও অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। পরে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। তারপরই রাত ৮ টা নাগাদ ‘দাগি’অযোগ্যদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।