WBCS Examination | বাবাই অনুপ্রেরণা, ডব্লিউবিসিএসে সফল শিলিগুড়ির মনসিজ, জানালেন সাফল্যের চাবিকাঠি  

WBCS Examination | বাবাই অনুপ্রেরণা, ডব্লিউবিসিএসে সফল শিলিগুড়ির মনসিজ, জানালেন সাফল্যের চাবিকাঠি  

ব্লগ/BLOG
Spread the love


শিলিগুড়ি: ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় সফল হলেন শিলিগুড়ির আরও এক তরুণ। ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল না হলেও ডব্লিউবিসিএসে তাক লাগিয়ে দিয়েছে শিলিগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনসিজ ঘোষ। ছোট থেকেই মনসিজের স্বপ্ন ছিল উচ্চপদে সরকারি চাকরির। সেই অনুপ্রেরণা মনসিজ পেয়েছেন তাঁর বাবার কাছ থেকেই। এই সাফল্যে খুশি মনসিজের পরিবার। তবে আগামীতে ফের ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসতে চায় এই কৃতী।

জানা গিয়েছে, ডব্লিউবিসিএসে মেধাতালিকায় রাজ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড তথা ডাবগ্রামের বাসিন্দা মনসিজ ঘোষ। তিনি শিলিগুড়ি জার্মেলস অ্যাকাডেমি থেকে দ্বাদশ পাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। তারপরই প্রথমে ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নিলেও সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি। কিন্তু থেমে না থেকে ডাব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসেন মনসিজ। সেখানে দ্বিতীয়বারে বাজিমাত করেন এই মেধাবী।

এই সাফল্যের জন্য তিনি কোনওরকম সহায়তা নেননি চাকরি সংক্রান্ত শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের। বাড়িতেই তিনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনসিজ। তিনি বলেন, ‘কত ঘন্টা পড়াশোনা করলাম তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কতটা মনোযোগ সহকারে পড়লাম। আমি ছোট থেকে কোনওদিনই ঘড়ি ধরে পড়াশোনাতে বিশ্বাসী ছিলাম না। সবসময়ই চ্যাপ্টার ধরে মনোযোগ দিয়ে পড়েছি।’

মনসিজের বাবা শুভঙ্কর ঘোষ নিজেও একজন ডাব্লিউবিসিএস অফিসার। বর্তমানে কোচবিহারের ডেপুটি ডিএলঅ্যান্ডএলআরও অফিসার পদে কর্মরত রয়েছেন। বাবাকে দেখেই মনসিজের ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল সরকারি উচ্চপদে চাকরি করার। ডাব্লিউবিসিএস পরীক্ষার জন্য কোনওরকম কোচিংয়ের সাহায্য না নিয়ে সেল্ফ স্টাডি করেই এত ভালো র‌্যাঙ্ক করেছে সে। কিভাবে সেল্ফস্টাডি করতে হয় সে ব্যাপারে  মনসিজ জানান, গত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র দেখে এবং বই খুঁটিয়ে ভালো করে পড়তে হবে।  রিভিশন খুব প্রয়োজন।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি সব পরীক্ষা সবার জন্য নয়। আমি নিজেও ইউপিএসসি পরীক্ষা পাশ করতে পারিনি। এমনকি প্রথমবার ডাব্লিউবিসিএস পরীক্ষাতেও অল্পের জন্য পাশ করিনি। তবে থেমে থাকিনি বরং এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কোন কোন বিষয় কীভাবে পড়তে হবে তা বুঝে মন দিয়ে পড়েছি।’ পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট দেখতে খুব ভালোবাসেন এই মেধাবী। যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য তিনি জানান, একটা পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে থেকে না থেকে অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার জন্য মন দিয়ে চেষ্টা করো।

ছেলের এই সাফল্যে খুশি বাবা শুভঙ্কর ঘোষ ও মা সোনা ঘোষ সহ পরিবারের বাকি সদস্যরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *