উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ আইন (Waqf Regulation) নিয়ে অশান্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর এলাকা। শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি ছোড়া হয়। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো, সাধারণ যানবাহন ও বাইক ভাঙচুর- একাধিক ঘটনায় অশান্ত শাজুরমোড় ও ধুলিয়ান সংলগ্ন এলাকা। বোমা-ইটের ঘায়ে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। বিক্ষোভকারীরা গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। পালটা পুলিশের বিরুদ্ধেও গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে বিএসএফও। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের ঘটনায় এবার কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (WB Governor on Murshidabad Violence)।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল জানান, বাংলার কোথাও কোথাও কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার খবর আসছে। বিষয়টি উদ্বেগের। গণতন্ত্রে প্রতিবাদ করা যায়, কিন্তু সহিংসতা দেখানো যায় না। প্রতিবাদের নামে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা যাবে না।’ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনি এও জানান, বাংলার কিছু অংশে সমস্যা তৈরি হতে পারে, এমন তথ্য পাওয়ার পর রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে একটি গোপন আলোচনা হয়েছিল। মুখ্যসচিব আশ্বস্ত করেছেন, সরকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কোনওভাবেই অশান্তি বাড়তে দেওয়া হবে না। আইন নিজে হাতে তুলে নিতে দেওয়া হবে না। রাজ্য প্রস্তুত রয়েছে।
#WATCH | Bengaluru: West Bengal Governor CV Ananda Bose says, “I’ve been receiving disturbing reviews about some folks taking legislation and order of their arms in some components of Bengal. Protest is welcome beneath democracy, however not violence. Public order can’t be disturbed and the… pic.twitter.com/MlSYsKhwHb
— ANI (@ANI) April 11, 2025
ঘটনার পর মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন অংশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।