উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের ভোটার তালিকায় শেষবার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) হয়েছিল ২০০২ সালে। তারপর এবার এসআইআর শুরুর মুখে খোঁজ মিলছে না রাজ্যের কয়েকশো বুথের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা (Votar Listing)। তাই নির্বাচন কমিশনের (EC) পোর্টালে ওই বুথগুলির ভোটাল তালিকা ঠিকমত আপলোড করা সম্ভব হচ্ছে না। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে এমনটাই খবর।
২০০২ সালের কতগুলি বুথের ভোটার তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না বুধবার সেই তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে (ECI) জানানো হবে। এক্ষেত্রে তালিকা যদি না মেলে তাহলে ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের অনুমতি চাওয়া হবে। কমিশনের অনুমতি মিললে ওই বুথগুলির ক্ষেত্রে ২০০৩ সালের খসড়া তালিকা (Draft record) দেওয়া হবে।
২০০২ সালের পর আবার এবছর রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এসআইআর হবে। যেখানে ২০০২ সালকে ধরে নতুন সমীক্ষা ও সংশোধনের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই মোতাবেগ রাজ্যের সিইও দপ্তরের তরফে সমস্ত জেলাশাসককে (DM) ২০০২ সালের ভোটার তালিকা সিইও দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সিইও দপ্তর। সেই সময় দেখা যায়, সব জেলার ২০০২ য়ের পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারন হিসেবে কয়েকটি জেলার তরফে জানানো হয়েছে, এত পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সিইও দপ্তর সূত্রের খবর, ভোটার তালিকা খুঁজে না পাওয়ার পাশাপাশি অনেক বুথের তালিকা পাওয়া গেলেও সেগুলি অস্পষ্ট। প্রায় নষ্টের মুখে সেগুলি। ফলে সেগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করা যাচ্ছে না।
এবিষয়ে এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘আমাদের কাছে ২০০৩ সালের খসড়া তালিকা অর্থাৎ ড্রাফ্ট লিস্ট রয়েছে।’ গোটা রাজ্যে ৮০ হাজারেরও বেশি বুথ ছিল। সেগুলির পুর্ণাঙ্গ তালিকা খুঁজে বার করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে বেশির ভাগ তালিকাই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কয়েকটি জায়গার তালিকা পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে পাওয়া না গেলে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা জাগতে পারে মানুষজনের মনে। এমন সমস্যা সমধানের জন্য ২০০৩ সালের খসড়া তালিকা প্রকাশ করাই সব থেকে ভালো হবে।