উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে বৈঠক চলাকালীন তীব্র বাদানুবাদে জড়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। এই ঘটনার একদিনের মাথায় এবার ব্রিটেনে গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। শনিবার সেখানে পৌঁছাতেই সাদর অভ্যর্থনা জানানো হয় জেলেনস্কিকে। দেখা হতেই তাঁকে আলিঙ্গন করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। এমনকি ব্রিটেন ইউক্রেনের পাশে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক হয় স্টার্মার ও জেলেনস্কির। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি ঋণের নথিতেও স্বাক্ষর করেছে ব্রিটেন প্রশাসন। ব্রিটেনের চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রীকে ভিডিও কনফারেন্সে নিয়ে এই ঋণে স্বাক্ষর করেন। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনের পাশে থাকার জন্য ব্রিটেনকে ধন্যবাদও জানান জেলেনস্কি। স্টার্মারও জেলেনস্কিকে বলেন, ‘যত সময়ই লাগুক না কেন, ব্রিটেন ইউক্রেনের পাশেই রয়েছে।’
এদিন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে জেলেনস্কিকে সমর্থন জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন অনেকে। জেলেনস্কি সেখানে পৌঁছানোর পর তাঁদের মধ্যে উল্লাস লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলেই স্টার্মার বলেন, ‘আমি আশা করি আপনি রাস্তায় মানুষের উল্লাস লক্ষ্য করেছেন। ব্রিটেনের জনগণ আপনাকে কতটা সমর্থন করে এবং আপনার পাশে থাকার জন্য কতটা দৃঢ় সংকল্প তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।’ এর জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে আমাদের ব্রিটেনের মতো বন্ধু রয়েছে। এই যুদ্ধের শুরু থেকেই ব্রিটেন আমাদের পাশে রয়েছে। তার জন্য আমি ব্রিটেনের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।’ এদিকে, রবিবার ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে জেলেনস্কির।
প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। কিন্তু বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দেন যে, রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে হলে কিছু আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। যা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেই বাদানুবাদ হয় দুই রাষ্ট্রনেতার। এরপরই বাতিল হয়ে যায় খনিজ চুক্তি। এমনকি হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন জেলেনেস্কি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। এরই মধ্যে এবার ব্রিটেন সফরে গেলেন জেলেনস্কি। যা কিয়েভ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।