মুম্বই: সপ্তাহখানেকের মধ্যে জোড়া নক্ষত্র পতন। তাও ইংল্যান্ড সফরের আগে। যদিও বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার টেস্ট অবসর নিয়ে মাথা খারাপ করার কিছু দেখছেন না সঞ্জয় মঞ্জরেকার। প্রাক্তনের মতে, অনেকে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন বিরাট, রোহিতদের অনুপস্থিতিতে বিলেতের মাটিতে ভারত কী রকম খেলবে তা নিয়ে। তবে অযথা চিন্তার কোনও কারণ দেখছেন না। অতীতের উদাহরণ টেনে আশ্বস্ত করছেন সমর্থকদের।
মঞ্জরেকারের যুক্তি, অতীতে ভারতীয় ক্রিকেটেও বড়সড়ো পালাবদল হয়েছে। পরপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শচীন তেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণরা বিদায় নিয়েছিল। কিন্তু ‘ফ্যাব ফোরের’ বিদায়ের কয়েক বছরের মধ্যেই টেস্টে সেরার মুকুট পেয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতীয় দল। বিরাট-রোহিতের অবসরে শূন্যতা তৈরি হলেও ভারতীয় ক্রিকেটে প্রতিভার অভাব নেই। বর্তমান প্রজন্মের ক্ষমতা রয়েছে যে শূন্যতা পূরণ করার।
প্রাক্তন টেস্ট ব্যাটার বলেছেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভারতীয় ক্রিকেটে প্রচুর নতুন ক্রিকেটার উঠে আসছে। যারা দেশের হয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। দুই তারকার বিদায়ে কিছুটা শূন্যতা তৈরি হবে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু দেখছি না। ভারতীয় বোলিংও এখন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ফ্যাব ফোরের বিদায়ের পর শূন্যতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। এবারও তেমন কিছু ঘটবে বলে আমার ধারণা।’
এদিকে রোহিতকে নিয়ে গৌতম গম্ভীরকে ঘুরিয়ে একহাত নিলেন শাস্ত্রী। তাঁর দাবি, গত অস্ট্রেলিয়া সফরে তিনি ভারতীয় দলের কোচ থাকলে সিডনির শেষ টেস্টে রোহিতকে ঠিক খেলাতেন। রোহিত দলের অধিনায়ক। সিরিজ তখনও শেষ হয়ে যায়নি। এই রকম পরিস্থিতিতে কারণ যাই হোক, অধিনায়ক ছাড়া খেলতে নামা ভুল পদক্ষেপ।
শাস্ত্রী বলেছেন, ‘সিডনিতে তরতাজা পিচ ছিল। নতুন বলে টক্কর গুরুত্বপূর্ণ। আর যে রকম ফর্মেই থাকুক না কেন, রোহিত ম্যাচ উইনার। শুরুতে নতুন বলে যদি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ৩৫-৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংসও খেলে দিত, তাহলে কিন্তু অনেক কিছুই ঘটতে পারত। সিরিজ ২-২ হতে পারত। প্রত্যেকের নিজস্ব ভাবনা থাকে। নিজের মতো করে পরিকল্পনা থাকে। তবে আমি হেড কোচ থাকলে কখনই এটা হতে দিতাম না।’
পাশাপাশি বিরাটের হঠাৎ টেস্ট অবসরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মানসিক ক্লান্তিকেই দুষলেন রবি শাস্ত্রী। বিরাটের সঙ্গে জুটিতে ভারতীয় দলকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। দুজনের মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন এখনও অটুট। অবসরের আগে শাস্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন বিরাট। তখনই শাস্ত্রী বুঝে গিয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছে। আর যার নেপথ্যে মানসিক ক্লান্তিই দায়ী। ফিট থাকলেও মন আর সঙ্গ দিচ্ছিল না বিরাটের। যে ভাবনার ফসল টেস্টকে বিদায় জানানো।