উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধবিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোনও ভূমিকা ছিল না। সংসদের বিদেশ বিষয়ক সামনে ভারত এভাবেই সরকারের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিলেন দেশের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত একান্তই ২ দেশের মধ্যে আলোচনাতেই ঠিক হয়েছে বলে জানান তিনি। সোমবার কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদেশ সচিব (International Secretary)। বৈঠকে একাধিক সদস্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিদেশ সচিবের কাছে বিষয়টি জানতে চান। যদিও বিদেশ সচিব পরিষ্কার যুদ্ধবিরতিতে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা অস্বীকার করেছেন। ১০ মে দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (DGMO)-এর মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা ছিল না।
ভারত পাক সামরিক সংঘর্ষে পাকিস্তান কোনও ভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কিনা এই প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিস্রি দাবি করেন, এমন কোনও আশঙ্কা ছিল না। প্রচলিত অস্ত্রের মাধ্যমেই সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের তরফে কোনও পরমাণু সংকেত দেওয়া হয়নি। সংঘর্ষের সময় তাদের ব্যবহৃত চিনা প্রযুক্তির অস্ত্র নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। আমরা তাদের বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে কঠোরভাবে আঘাত করেছি।’
তবে ভারতের কোনও যুদ্ধবিমান বা রাফালের মতো বিমান পাকিস্তান গুলি করে নামিয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন কমিটির একাধিক সদস্য। যদিও মিস্রি জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এই ধরনের প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে চাননি। অপারেশন সিঁদুরের আগে পাকিস্তানকে জানানো নিয়ে সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের বক্তব্যেরও ব্যাখা দাবি করেন কোনও কোনও সদস্য। যদিও বিক্রম মিস্রি জানান, মন্ত্রীর বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, অপারেশন সিঁদুরের প্রথম ধাপের পর ইসলামাবাদকে জানানো হয়েছিল যে কেবলমাত্র পাকিস্তান ও পিওকে-র সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতেই হামলা চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য বিদেশ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্ল, দীপেন্দর হুডা, বিজেপির অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, অরুণ গোভিল এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।