অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: শরীরীভাষায় স্বস্তির ছাপ স্পষ্ট। যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সেই রাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে চূর্ণ হওয়ার পর এমন একটা জয়ের প্রয়োজন ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে উড়িয়ে ৮০ রানের বিশাল জয়ের পর প্রায় মধ্যরাতে ভেঙ্কটেশ আইয়ার যখন সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হলেন, দেখে মনে হচ্ছিল যেন ফের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে কেকেআর।
বৈভব অরোরা ম্যাচের সেরা হয়েছেন। ভেঙ্কটেশও হতে পারতেন। কিন্তু ম্যাচ সেরা হতে না পারার জন্য কোনও আফসোস নেই তাঁর। বরং ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার পর নাইটদের সহ অধিনায়কের মনে হচ্ছে, ‘ঘরের মাঠে এমন পিচই চাই। আজ আমরা অনায়াসে জিতেছি বলে বলছি, এমন নয়। কিন্তু এমন পিচ পেলে অবশ্যই আমাদের দলের জন্য সেটা ভালো।’ মুম্বই ম্যাচ হেরে লিগ টেবিলে লাস্ট বয় হয়ে গিয়েছিল কেকেআর। আজ হায়দরাবাদ দখলের পর পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছেন নাইটরা। উপরি হিসেবে ২৩.৭৫ কোটি টাকার বোঝা সামলে দলকে জয়ের দিশা দেওয়া ভেঙ্কি বলছেন, ‘আইপিএল শুরুর পর থেকে অর্থ নিয়ে কেই বা আর মাথা ঘামায়। কিন্তু হ্যাঁ, একথা ঠিক আগের ম্যাচগুলোতে রান না পাওয়ায় চাপ তো ছিলই। আপাতত সেই চাপ কমল। এখনও অনেক পথ চলার বাকি আমাদের।’
মুম্বই ম্যাচের পর নাইটদের দলের কম্বিনেশন ও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ছিল বিস্তর প্রশ্ন। আজ রাতের ইডেনে সেই সব প্রশ্নের জবাব মিলেছে অনেকটাই। অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে, রিঙ্কু সিংদের ব্যাটিং নাইটদের ভরসা দিয়েছে। দলের সহ অধিনায়ক ভেঙ্কটেশ তাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য ছিল পরিষ্কার। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল না। তাই পরিস্থিতি বুঝে আমরা বড় শটের দিকে যাই। জানতাম আমাদের পরে রিঙ্কু, রাসেলরা রয়েছে।’