নয়াদিল্লি: টেস্ট, টি২০ ক্রিকেটকে ইতিমধ্যেই বিদায় জানিয়েছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা। ওডিআই ক্রিকেটে কতদিন দেখা যাবে, তা নিয়েও ঘোর অনিশ্চয়তা। কোহলিদের অনুপস্থিতিতে যে শূন্যতা তৈরি হবে, তা পূরণে এখন থেকেই উদ্যোগী ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। ভাবনায় বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছেন বৈভব সূর্যবংশী।
ইতিমধ্যেই অনূর্ধ্ব-১৯ এবং আইপিএলে নিজের ঝলক দেখিয়েছে বিহারের বছর চোদ্দোর বিস্ময় বালক। বোর্ড চাইছে, সেই চমকটা যাতে সিনিয়ার পর্যায়েও বজায় থাকে। অতীতে বেশ কিছু প্রতিভা অকালে হারিয়ে গিয়েছে। বৈভবের ক্ষেত্রে তা যেন না ঘটে, তাই এখন থেকেই বিশেষ পরিকল্পনা বোর্ডের।
বৈভবের জন্য আপাতত সপ্তাহ খানেকের স্পেশাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০ অগাস্ট থেকে বোর্ডের বেঙ্গালুরুস্থিত জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষকদের নজরদারিতে বিশেষ প্রস্তুতি সারছেন তরুণ তুর্কি। যুব দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফর সেরে দেশে ফেরার পর বৈভব রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন। আপাতত বৈভবের ঠিকানা এনসিএ।
বিশেষ ট্রেনিং প্রোগ্রামে টেকনিকাল ড্রিলের পাশাপাশি ম্যাচ পরিস্থিতিতে নিজেকে মেলে ধরা- দুটোই থাকছে। বৈভবের ছোটবেলার কোচ মণীশ ওঝা দাবি করেছেন, সিনিয়ার একাধিক ক্রিকেটার অবসর নিতে চলেছে। এর ফলে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সেই শূন্যতা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ নিতে পুরোদস্তুর তৈরি থাকে, সেটাই চাইছে বোর্ড। এনসিএ-তে বৈভবের চলতি ট্রেনিং প্রক্রিয়া তারই অন্তর্গত।
আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া সফর (ওডিআই সিরিজ) বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ হতে চলেছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপের আগে নতুন টিম তৈরি রাখতে হবে। যে ভাবনায় বিস্ময় বালক একেবারে শুরুর দিকে রয়েছে। বৈভব বর্তমানে এনসিএ-তে সপ্তাহ খানেকের বিশেষ ট্রেনিং সারবেন। তারপর যোগ দেবেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শিবিরে।
ছোটবেলার কোচ মণীশ ওঝার দাবি, প্রথম বল থেকে আক্রমণাত্মক শট খেলার ক্ষমতা রাখে বৈভব, যা সাদা বলের ফর্ম্যাটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএল হোক, অনূর্ধ্ব-১৯ হোক বা বিজয় হাজারে ট্রফি- সর্বত্রই তারই ঝলক। লাল বলের ফর্ম্যাটে অবশ্য পারফরমেন্স গ্রাফ তুলনামূলক নিম্নমুখী। কোচের বিশ্বাস, বিশেষ ট্রেনিংয়ে ধারাবাহিকতাই বাড়তি গুরুত্ব পাবে। লক্ষ্য থাকবে, বৈভব যদি ১০টি ইনিংস খেলে তার মধ্যে ৭-৮টিতে যেন ছাপ রাখতে পারে।