উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর নানা হারে শুল্ক (US Tariff) চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)। তবে আপাতত নয়া শুল্কনীতিতে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করলেন তিনি। তবে শুধুমাত্র চিনের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না। উলটে চিনের (China) পণ্যের উপর শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুল্ক ঘোষণার পর ৭৫ টিরও বেশি দেশ আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য। পালটা প্রতিশোধের পথে হেঁটে শুল্ক চাপায়নি তারা। তাই ওই দেশগুলির পারস্পরিক শুল্কের উপর ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে দেশগুলির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক কমানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ফলে চিন বাদে বাকি দেশগুলি একপ্রকার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। তবে চিনের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্ব বাজারের প্রতি চিন কোনও সম্মান দেখায়নি, তাই চিনের উপর আরোপিত শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হচ্ছে।’ এই শুল্ক অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চলতি বছরের শুরুর দিকেই চিনের পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এদিকে, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চিনের উপরেও পারস্পরিক শুল্ক চাপায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। চিনের পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছিল। এরপরই জবাবে শুক্রবার মার্কিন পণ্যের উপর পালটা ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপায় চিন। এই পদক্ষেপের পরই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে পালটা শুল্ক প্রত্যাহার না করলে চিনা পণ্যের উপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপাবে আমেরিকা। যদিও তাতে পিছু হটেনি চিন। ফলে বুধবার থেকে চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে আমেরিকা। অর্থাৎ আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের উপর ১০৪ শতাংশ (২০ শতাংশ, ৩৪ শতাংশ এবং ৫০ শতাংশ) শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এরপরই বুধবার পালটা আমেরিকান পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক চাপায় বেজিং। আর এবার ফের চিনের উপর শুল্ক বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন ট্রাম্প। তিনি সাফ বলেছেন, ‘আশা করি ভবিষ্যতে চিন বুঝবে, আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের স্বার্থে ঘা দিলে মোটেই মেনে নেওয়া হবে না।’ এদিকে, শেষ পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল চিন। এরপর বেজিং কী পদক্ষেপ নেয়, আপাতত সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের।