Tufanganj | নববর্ষে ভিনরাজ্যে পাড়ি তুফানগঞ্জের মিষ্টির, ব্যবসায়ীদের মুখের চওড়া হাসি

Tufanganj | নববর্ষে ভিনরাজ্যে পাড়ি তুফানগঞ্জের মিষ্টির, ব্যবসায়ীদের মুখের চওড়া হাসি

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


বাবাই দাস, তুফানগঞ্জ: মঙ্গলবার বাংলা নববর্ষ। বছরের প্রথম দিনটা মিষ্টিমুখে শুরু করতে চায় সকলেই। ব্যবসায়ীরাও পরিচিত ক্রেতাদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন মিষ্টির বাক্স। কেউ কেউ আবার দোকানেই করেন মিষ্টিমুখের আয়োজন। আর সেজন্য আপাতত ক্রেতাদের ভিড় জমতে শুরু করেছে মিষ্টির দোকানগুলোয়। তুফানগঞ্জ (Tufanganj) শহরের দোকানগুলিও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং সেখানকার মিষ্টি ব্যবসায়ীদের মুখের হাসি আরও চওড়া। কারণ তুফানগঞ্জের মিষ্টি যাচ্ছে ভিনরাজ্যেও।

রবিবার শহরের নিউটাউন, মদনমোহনবাড়ি, দমকলকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় মিষ্টির দোকানগুলিতে চোখে পড়ল সেরকমই ছবি। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে রকমারি স্বাদের মিষ্টির চমক দেখাতে কারিগরদের দম ফেলার ফুরসত নেই। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভিনরাজ্য থেকেও ব্যবসায়ীরা এসে মিষ্টির অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষত অসম থেকে আসছে মোটা টাকার অর্ডার।

অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি এবছরেও লাড্ডুর চাহিদা বেশি রয়েছে। কারণ সেদিন তো হবে গণেশপুজো। আর গণেশ তো লাড্ডুপ্রেমী। হালখাতার প্যাকেটে তাই লাড্ডু রাখতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা।

নিউটাউনের একটি দোকানে লাড্ডুর অর্ডার দিতে এসেছিলেন অসমের ব্যবসায়ী স্বপন বণিক। তিনি জানালেন, অসমে মিষ্টির দক্ষ কারিগর নেই। তাই সেখানকার দোকানে লাড্ডু পাওয়া গেলেও তার গুণমান পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টির ধারেকাছে নেই। আর দোকানগুলিতে যে দু’-এক রকমের মিষ্টি মেলে, তার খরচও বেশি পড়ে যায়। ‘তাই বাধ্য হয়ে এতদূর আসা।’ বলছিলেন স্বপন।

শহরে মদনমোহনবাড়ি রোড, কাছারি মোড়, হরিরধাম এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় মিষ্টির দোকান রয়েছে। এখন দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় এতটাই উপচে পড়েছে যে কর্মচারীরা সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন। কর্মচারীরা রাতেও লাড্ডু বানাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে নিউটাউন এলাকার মিষ্টি বিক্রেতা স্বরূপ সাহার কথায়, ‘এক সপ্তাহ আগে থেকেই লাড্ডু ও মিষ্টির অর্ডার আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু  অসম নয়, মেঘালয় থেকে একের পর এক বায়না আসতে শুরু করেছে। তবে সামগ্রীর দাম বাড়লেও লাড্ডুর দাম একই রাখতে হয়েছে।’ তাঁর কথায়, ‘সরস্বতীপুজোর মতোই এখন ঘরে ঘরে গণেশপুজোর চল হয়েছে। আর সে কারণেই অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় গণেশের প্রসাদ হিসেবে লাড্ডুর চাহিদা বেড়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী লাল ও হলুদ দু’ধরনের লাড্ডুই তৈরি করা হচ্ছে।’

দমকলকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার আরেক মিষ্টি ব্যবসায়ী সুভাষচন্দ্র পালের কথায়, ‘এবছর দোকানে লাড্ডুর দাম রাখা হয়েছে ৮ টাকা থেকে শুরু করে ১০ টাকা পিস’। ভাওয়াল মোড় এলাকার মিষ্টি বিক্রেতা রাজা পাল জানান, রসনাতৃপ্তির পাশাপাশি স্বাস্থ্যের বিষয়টিও যাতে বজায় থাকে সেদিকেও খেয়াল রেখে কাজ করছেন তুফানগঞ্জের কারিগররা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *