Trump Provides To Assist Finish India-China Border Dispute. What Says Centre

Trump Provides To Assist Finish India-China Border Dispute. What Says Centre

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরব-ইহুদি দ্বন্দ্ব মেটাতে ‘যুগান্তকারী’ পদক্ষেপ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালে তাঁর জমানায় সই হয়েছিল আব্রাহাম অ্যাকর্ড। এবার ভারত-চিন সংঘাত থামাতে আসরে নামলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তে নানা সমস্যার সমাধান করতে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ফলে কূটনীতিকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে কি দিল্লি-বেজিংয়ের মধ্যেও আব্রাহাম অ্যাকর্ডের মতো কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে? কী বলছে ভারত? 

দুদিনের সফরে ১৩ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় পা রাখেন মোদি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার ভোরে তিনি বৈঠকে বসেন ট্রাম্পের সঙ্গে। আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। উঠে আসে সীমান্ত সংঘাতের প্রসঙ্গও। বৈঠকের পর মোদিকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, “আমি ভারতের দিকে সব সময় ভারতের দিকে লক্ষ্য রাখি। তাদের সীমান্তে যে সংঘর্ষগুলো হয়েছে তা বেশ ভয়ংকর। আমি মনে করি, এই সংঘর্ষ চলতেই থাকবে। আমি যদি ভারতকে কোনওভাবে সাহায্য করতে পারি, তাহলে সীমান্ত সংঘাত মেটাতে সাহায্য করতে চাই। কারণ এটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে এবং খুবই হিংসাত্মক। এটা থামানো দরকার।”

কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় দিল্লি। যুক্তি দিয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশরি সাফ জানিয়ে দেন, “পড়শি দেশের সঙ্গে আমাদের কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা সব সময় মনে করি, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করা উচিত।” নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের নাক গোলানো কোনও সময়ই পছন্দ নয় ভারতের। বিশ্বে উত্তরোত্তর যেখানে দিল্লির গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে নিজেদের সমস্যা সমাধানে তৃতীয়পক্ষের কোনও প্রয়োজন নেই। তা সে কাশ্মীর ইস্যু হোক কিংবা লাদাখ সংঘাত। ভারতের বিদেশনীতি মনে করিয়ে দিয়ে এদিন আমেরিকাকে সেই বার্তাই দিলেন বিক্রম।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চুক্তি হয় ভারত ও চিনের মধ্যে। সেই অনুযায়ী ডেমচক, দেপসাংয়ের মতো একাধিক এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দুদেশ। কিন্তু সীমান্তের পরিস্থিতি যে আদৌ শান্ত হয়নি ফের তার প্রমাণ মেলে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-চিন সীমান্ত। লাদাখ ভূখণ্ড নিয়ে ২ নতুন প্রদেশ তৈরি করার কথা ঘোষণা করে বেজিং। হোটান প্রদেশে নতুন ২ কাউন্টি তৈরি করার কথা জানায় তারা। যার মধ্যে রয়েছে লাদাখের অংশ। স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিস্ট দেশটির এই আগ্রাসনে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে দিল্লি। ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিদেশমন্ত্রক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *