Thailand-Cambodia Conflict | সংঘর্ষবিরতির আলোচনায় বসতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া! দাবি ‘মধ্যস্থতাকারী’ ট্রাম্পের

Thailand-Cambodia Conflict | সংঘর্ষবিরতির আলোচনায় বসতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া! দাবি ‘মধ্যস্থতাকারী’ ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত তিনদিন ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে (Thailand-Cambodia Conflict) । তবে শুক্রবারই রাষ্ট্রপুঞ্জে কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত থাইল্যান্ডের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। আর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও (US President Donald Trump) ঘোষণা করে দিলেন অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতির আলোচনায় (Ceasefire talks) বসতে রাজি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

বর্তমানে স্কটল্যান্ড সফরে রয়েছেন ট্রাম্প। সেখান থেকেই কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে ফোনে কথা বলেন তিনি। এমনকি উভয় পক্ষকেই সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, এই সংঘর্ষ অব্যাহত থাকলে এই দুই দেশের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য চুক্তি করবে না আমেরিকা। এরপরই দুই দেশ সংঘর্ষবিরতির আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

এরপরই শনিবার (আমেরিকার স্থানীয় সময়) ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘দুই দেশই অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতি এবং শান্তির সন্ধান করছে। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য টেবিলেও বসতে আগ্রহী উভয় পক্ষ। কিন্তু সংঘাত না থামা পর্যন্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। তবে দুই দেশই অবিলম্বে দেখা করে দ্রুত সংঘর্ষবিরতিতে এবং শেষ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে।’ তবে সংঘর্ষবিরতির আলোচনা নিয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি হোয়াইট হাউস বা সংশ্লিষ্ট দেশগুলির দূতাবাসের তরফে।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইও ‘নীতিগতভাবে’ সংঘর্ষবিরতির জন্য সে দেশের আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে এনিয়ে কম্বোডিয়ার ‘আন্তরিক ইচ্ছার’ প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি ট্রাম্পকে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বসার জন্য থাইল্যান্ডের আগ্রহের কথা কম্বোডিয়ার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে অনুরোধও করেছেন।

উল্লেখ্য, একটি প্রাচীন মন্দিরের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে। কিন্তু সেই বিবাদ আচমকাই সংঘর্ষের রূপ নেয় বৃহস্পতিবার থেকে। মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ, রকেট হামলায় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ চরমে ওঠে। জেট, কামান, ট্যাংক নামিয়ে দুই দেশের স্থলবাহিনী মুখোমুখি যুদ্ধে নেমে পড়ে। এই সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে মোট ৩০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন  লক্ষাধিক মানুষ। এরই মাঝে এই দুই দেশের মধ্যেও সংঘর্ষ থামাতে ফের উদ্যোগী হলেন ট্রাম্প।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *