উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ (Thailand-Cambodia Conflict) চরমে। বুধবার সীমান্তে গোলাগুলিতে থাইল্যান্ডের (Thailand) দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়। তার পালটা এফ ১৬ যুদ্ধবিমান (F-16 Jet) নিয়ে কম্বোডিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় থাইল্যান্ড। দুই দেশের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সামরিক বিমানগুলি অক্ষত অবস্থায় নিজের দেশে ফিরে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। কার্যত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ বেঁধে গেল। দুই দেশের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের।বৃহস্পতিবার ভোরেও সীমান্ত অঞ্চলে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার (Cambodia) সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি চলে। থাই প্রশাসন জানিয়েছে, কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনীর ছোড়া রকেটের আঘাতে দুজন থাই নাগরিক প্রাণ হারান। এরপরই এফ ১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালায় থাই সেনা। এদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, থাই সেনারা প্রথমে গুলি চালায়। তাদের সেনারা আত্মরক্ষার্থে পালটা গুলি চালায়।
এক বিবৃতিতে থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ায় ঢুকে গুলিবর্ষণ করেছে এবং সামরিক লক্ষ্যস্থল ধ্বংস করেছে। কম্বোডিয়ার স্পেশাল মিলিটারি রিজিয়ন কমান্ডস ৮ ও ৯ ধ্বংস হয়েছে। এই হামলার কথা স্বীকার করেছে কম্বোডিয়া। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত থাই এই হামলাকে সশস্ত্র আক্রমণ বলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, কম্বোডিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের পক্ষে। কিন্তু থাই হামলার পর পালটা বল প্রয়োগ ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।