উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে ভোটার তালিকা থেকে ৫২ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ইস্যুতে এবার ভোট বয়কটের ইঙ্গিত দিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা বিশেষ সংশোধনের নামে যা চলছে তা চূড়ান্ত অসততা। ’ এর জেরে বিরোধীরা একজোট হয়ে নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে তেজস্বী জানান, সেটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। আমরা দেখব মানুষ কি চাইছে এবং প্রত্যেকের এনিয়ে মতামত কী? যদি সবকিছুই আগে থেকে অসৎভাবে ঠিক করা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনের প্রয়োজনটা কী?’ যদিও বিজেপির বক্তব্য, পরাজয়ের আশঙ্কা থেকেই ভোট বয়কটের ভাবনাচিন্তা করছেন তেজস্বী।
ভোটার তালিকা থেকে ৫২ লক্ষ নাম বাদ পড়া নিয়ে বুধবার বিহার বিধানসভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাদানুবাদে জড়ান মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার (Nitish Kumar) ও বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। এদিন সংসদেও বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। সংসদের মকরদ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সেখানে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব। বিরোধী সাংসদদের একটাই দাবি কোনও মতেই বিহারবাসীর ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না। বিরোধীদের কটাক্ষ, ভোট চুরি করতে নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে ভোটার তালিকা সংশোধন করছে কমিশন। এদিন বিহার বিধানসভাতেও তেজস্বী প্রশ্ন তোলেন, ‘এখন বর্ষাকাল। কী ভাবে ফর্ম ফিল আপ করবে লোকে? কেন আধার সংযুক্তিকরণ হচ্ছে না? কেন রেশন কার্ড সংযুক্তিকরণ হচ্ছে না?’ তেজস্বীর প্রশ্ন যারা গতবার ভোট দিয়েছেন তাঁরা কি ভুয়ো ভোটার। নীতীশ কুমার কি ভুয়ো ভোটারদের ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এনিয়ে তেজস্বীর সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান নীতীশ। উল্লেখ্য, বিহারের এই ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই সপ্তাহে সেই মামলার শুনানি রয়েছে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় সেদিকে নজর রয়েছে সকলেরই।