পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: চা বাগানে বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করল আবহাওয়া দপ্তর। এ বছর বর্ষার আগে, মার্চ-এপ্রিল মাসে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটান সীমান্তবর্তী এবং প্রত্যন্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি চা বাগানের (Tea Backyard) ভেতর বৃষ্টিমাপক যন্ত্র বসানো হয়েছে। সেচ দপ্তর, সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে লাগানো এই যন্ত্রগুলি এবার বৃষ্টি মাপবে।
রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার আনন্দপুর চা বাগানে ১৩২ মিলিমিটার এবং ডামডিমে ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি শহরতলির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে সর্বাধিক ১৭৬ মিলিমিটার, গয়েরকাটা চা বাগানে ১৫১ মিলিমিটার, গ্যান্দ্রাওয়াড়ায় ৯২ মিলিমিটার, মোগলকাটা ও কৈলাসপুরে ১৩৫ মিলিমিটার করে, মোরাঘাট এলাকায় ৯০ মিলিমিটার, নেওড়া নদী চা বাগানে ১০৪ মিলিমিটার, সরস্বতীপুরে ১০০ মিলিমিটার, ওদলাবাড়িতে ৯৫ মিলিমিটার এবং ওয়াশাবাড়িতে ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে নতুন যন্ত্রগুলি থেকে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের ভাতখাওয়া চা বাগানে ১০২ মিলিমিটার, দলগাঁওতে সর্বাধিক ১৭৩ মিলিমিটার, সংকোশ এলাকায় ১০৪ মিলিমিটার, মাঝেরডাবরিতে ১২৪ মিলিমিটার, পাটকাপাড়ায় ১০২ মিলিমিটার, রায়ডাকে ৯৭ মিলিমিটার, জয়বীরপাড়ায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি নথিভুক্ত হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘চা শিল্পে বৃষ্টিপাতের হিসেব রাখা খুব প্রয়োজনীয়। এতদিন ভুটান সীমান্তবর্তী এবং অন্য এলাকার পাশাপাশি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় কী পরিমাণ বৃষ্টি হয়, হিসেব পাওয়া যেত না। এই দুই জেলায় এ বছর ৫০টি বৃষ্টিমাপক যন্ত্র বসানোয় বৃষ্টির পরিমাণ জানতে পারা যাচ্ছে।’
ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘এবার প্রচণ্ড গরম পড়েছিল। এই মরশুমে বৃষ্টির অভাব। চা শিল্পের আদর্শ পরিবেশে কী পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন তা জেনে হিসেব কষে এগোলে চা চাষে সুবিধা হবে।’