দিলীপকুমার তালুকদার, বুনিয়াদপুর: কিছুদিন আগেও ভরা যৌবনা টাঙনে মাছ ধরে সংসার বেশ ভালোই চলত ভজন হালদার, নারায়ণ হালদার, খুশি হালদারদের। সম্প্রতি নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে প্রচণ্ড সমস্যায় পরেছেন বংশীহারীর একাধিক মৎস্যজীবী।
টাঙনে (Tangon River) নৌকা ভাসিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জাল ফেলে রকমারি প্রজাতির মাছ তারা ধরতেন । সেই মাছ বিকেলে রশিদপুরের গিট্টি মোড়ের বাজারে গিয়ে বিক্রি করতেন। বিক্রির টাকা দিয়েই চাল, ডাল, নুন, শাকসবজি কিনতেন। টাঙনের জল শুকিয়ে তার বুকে শুধু বালি আর বালি। কোথাও সামান্য জল রয়েছে। সেই জলে জাল ফেলে যা মাছ পাওয়া যায়, তাতে সংসার চলে না। বংশীহারীর হালদারপাড়ার ভজন হালদার বলেন, ‘মাছ শিকারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। হাজার হোক বাবা- ঠাকুরদার পেশা তো! টাঙনে মাছ ধরেই সংসার দিব্যি হেসেখেলে চলে। । কিছুদিন আগেও নদীতে প্রচুর বাটা, ট্যাংরা, খলসে, রাইখোর, কালবোশ, বোয়াল, পুঁটি, পাবদা পাওয়া যেত। সেই মাছ গিট্টি মোড়ের বিকেলের বাজারে বিক্রি করতাম।’
নদীর বর্তমান অবস্থার কথা বলতে দীর্ঘশ্বাস পড়ে ভজন হালদারের। বলেন, ‘টাঙনে জল নেই বললেই চলে। নদীর বুকে শুধু বালি আর বালি । দুই এক জায়গায় সামান্য জল আছে। সেই জলেই মাছ ধরার চেষ্টা করি। আমরা প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছি।’
একই বক্তব্য খুশি হালদারেরও। তিনি বলেন, ‘টাঙনের জল শুকিয়ে গিয়েছে। মাছ ধরতে পারছি না। দুই এক জায়গায় হাঁটুসমান জল অবশ্য আছে। সেখানেই মাছ ধরার চেষ্টা করি। সারাদিনে ৭০০ গ্রাম মাছ পাই। এই সামান্য মাছ বিক্রি করে কী হবে। ? নদীতে জল না থাকায় নৌকা এখন বিশ্রামে। ভারী বৃষ্টি হলে টাঙনের বুক ভরে উঠত। সেই বৃষ্টির অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের গতি নেই।’