উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিজের পছন্দের লোক নিয়ে মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন মমতা। ভুল তথ্যও দিচ্ছেন তিনি! মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে কটাক্ষের সুরে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে অশান্তির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। ঘটনায় খুন হন ৩ জন। ঘরছাড়া হন বহু মানুষ। সেই ঘটনার বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর এই প্রথম মুর্শিদাবাদ সফরে গেলেন মমতা। আর তাঁর এই সফর নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন শুভেন্দু।
মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে এই অশান্তির ঘটনাটিকে চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন মমতা। তিনি আরও জানান যে, তিনি ষড়যন্ত্র এবং দাঙ্গার বিরুদ্ধে। যারা দাঙ্গা লাগায় তাঁদের বাংলার শত্রু বলেও সম্বোধন করেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, ‘আমি কোনও ধর্মের মানুষকে দোষ দেব না। কিছু মানুষ আছেন তাদের কাজই হল ধর্মের নামে মানুষকে প্ররোচিত করা। তারাই দাঙ্গা লাগিয়ে সবার আগে পালিয়ে যায়। এরাই বাংলার শত্রু। এরাই গৃহশত্রু। দু-তিনজন লোক আছে যারা এই গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। তারা নাকি বিরাট বিরাট ধর্মনেতা। কারা এই দ্বন্দ্ব করেছে, কীভাবে করেছে খুব তাড়াতাড়ি আমি প্রেসের সামনে আনব।’ এরপরেই কেন্দ্রকে নিশানায় নিয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য একাধিক রাজ্যে নানা ঘটনা ঘটে। মণিপুর (Manipur), রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রের কোনও প্রতিনিধি যায়নি। তবে বাংলায় (West Bengal) কিছু হলেই কেন একদিনের মধ্যেই সব চলে আসে।’ এদিন তিনি এটাও দাবি করেন যে, মুর্শিদাবাদের ২ ওয়ার্ডে ঝামেলা হয়েছিল। আর তাঁর এই বক্তব্যকেই মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন শুভেন্দু।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, ‘হিন্দুরা যাতে সমস্যার কথা বলতে না পারেন সে কারণে তাঁদের গ্রাম ব্যারিকেড করে ঘিরে রাখা হয়েছে। মমতা নিজের পছন্দের লোক নিয়ে গেছেন এবং কী বলবেন তা আগে থেকে ব্রিফ করা ছিল পুলিশকে। আর ২টি ওয়ার্ডের যে তথ্য মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তা মিথ্যে। ১০ জায়গার অন্তত ৯০০ দোকান-বাড়ি ভাঙা হয়েছে। স্থানীয়রা অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।’ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হিসাবে এই ঘটনার দায় মমতা এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেও এদিন দাবি করেন শুভেন্দু।