উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করে ২০২৬ সালের ভোট লড়ার বার্তা দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভিন রাজ্যে বাঙালিদের নিগ্রহের অভিযোগ তুলেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সেই যাবতীয় আক্রমণের মুখেও ভোটার তালিকা থেকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের নাম বাতিলের দাবিতে অনড় রইলেন শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। এদিন উত্তরকন্যা অভিযানে যোগ দিয়ে চুনাভাটি এলাকার সভা থেকে জানালেন, রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই, কিন্তু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের একজনের নামও ভোটার তালিকায় থাকতে দেওয়া হবে না।
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি মমতা খুব বড়বড় কথা বলছেন, আগে জবাব দিন রাজ্যের ৬০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে কাজ করতে যায় কেন? কেন রাজ্যে এই মুহূর্তে ২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার। এরপরই শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, ২০২৬ সালে আপনাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে ছাড়ব। তিনি বলেন বিহারের ধাঁচে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন চাই। ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন তাঁদের যে কেন্দ্রীয় সরকার ‘শরণার্থী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এদিন তাও স্মরণ করান বিরোধী দলনেতা।
এদিন ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সমাবেশকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘আজ বাংলায় কোথাও গরু বা কয়লা পাচার হয়নি। গাছ-কাঠ চুরি বন্ধ, কাপড়জামা শুকোতে দিতে পারছেন। কারণ এসব নিয়ে পালানোর লোক নেই। সবাই ধর্মতলায় জোড়ো হয়েছে ডিম-ভাত কর্মসূচিতে।’
এদিন উত্তরকন্যা অভিযান উপলক্ষ্যে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত থাকলেও বিজেপির নেতাকর্মীরা কোনও সংঘাতে জড়াননি। শুভেন্দুর নেতৃত্বে তিনবাতি মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়ে সেই মিছিল ৩ কিলোমিটার দূরে উত্তরকন্যার সামনে দিয়ে চুনাভাটি মাঠে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানেই সভা করেন শুভেন্দু অধিকারি, নিশীথ প্রামাণিক, দীপক বর্মণরা। শুভেন্দুর আক্রমণ, উত্তরবঙ্গকে প্রকৃতি যা দিয়েছে সেই বালি, জঙ্গলের কাঠ সবই তৃণমূল লুট করেছে। চা বাগানের জমিও বেচে দেওয়ার কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ৪ জুলাই ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে আসার কথা বলেন শুভেন্দু। দলের দুই বিধায়ক দীপক বর্মণ ও সুশীল বর্মণকে হেনস্তার প্রতিবাদে তাঁরা কোচবিহারে আসবেন বলে জানান তিনি। ওই দিনই উত্তরকন্যায় যাবেন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা।