কোচবিহার: বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর পরিমানে মাদক ও বেশ কয়েকটা পিস্তল। আর এতেই ক্ষুব্ধ এক তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতার সন্দেহ রতন দাস নামে এক যুবকের কারণেই সেগুলো বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর জেরেই রতনকে জলাশয়ে নামিয়ে লাঠিপেটা করছেন তৃণমূলের জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দেওর তপন বর্মন ও তার সঙ্গীরা। শুক্রবার বিকেলের দিকে মারধরের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই দ্রুত গতিতে সেই ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা উত্তরবঙ্গ সংবাদ যাচাই করেনি) ভাইরাল হয়ে যায়। মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের ঘটনায় তৃণমূলের নেতারা জড়িয়ে পড়ায় দলের অন্দরে শোরগোল পড়েছে। বিপাকে পড়েছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ভিডিওটি সত্য হলে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে দলের।
শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘শাসকের আইন কিভাবে বলবৎ হয় তার প্রদর্শন চলছে কোচবিহার জেলায়। জিরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান স্বপ্না বর্মনের কীর্তিমান দেওর তপন বর্মন তার সাঙ্গপাঙ্গকে সঙ্গে নিয়ে একটা নিরীহ সাধারণ মানুষকে পেটাচ্ছে। ঘটনাটি মাদক পাচারকে কেন্দ্র করে। কোচবিহারে তৃণমূলের জঙ্গলরাজ চলছে, আইন বলতে কিছু নেই। পুরো পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত।’
এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেছেন, ‘ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। তবে সেটি যদি সত্যি হয় তাহলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন আইনের পথে চলবে।’ বিষয়টি পুলিশেরও নজরে এসেছে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই নিগৃহীত যুবকের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে এখবর লেখা পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।