উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে ডিএ মামলায় দীর্ঘ শুনানি পর্ব শেষ হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court docket)। যদিও শুনানির পর রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছেন দুই বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার। তবে রাজ্য ও মামলাকারী সরকারি কর্মচারীরা কোনও বক্তব্য থাকলে তাঁরা লিখিতভাবে জানাতে পারেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়ে শুরু হয় এই মামলা। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় সরকারি কর্মচারীদের পক্ষেই রায় দেয়। স্যাটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্টও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার পক্ষেই রায় দেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।
সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ শুনানি চলে এই মামলার। বহু বার এই মামলার তারিখ পিছিয়েছে। যদিও শুনানিতে রাজ্যকে আগেই ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ জন্য ছ’সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ডিএ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে সময় চেয়ে দরবার করে। রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে বলে, আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত কোনও বরাদ্দ ধরা নেই। তাই তারা সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানায়।
সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত ৪ অগস্ট থেকে প্রতিদিনই শুনানি চলেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে। তবে একাধিক শুনানিতে অনুপস্থিত থেকেছেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। শুনানিতে রাজ্যের যুক্তি, ডিএ দিতে রাজ্য সরকারকে কখনই বাধ্য করা যায় না। তা ছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো ভিন্ন। কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয় তার সঙ্গে রাজ্যের তুলনা চলে না। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী করুনা নন্দী জানান, নির্দিষ্ট সময়মতো ডিএ দেওয়া সরকারের নীতির মধ্যে পড়ে। খেয়ালখুশি মতো ডিএ দেওয়া যায় না। অল ইন্ডিয়া কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স মেনে ডিএ দিতে হবে। এখন দেখার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়।