নয়াদিল্লি : মহিলা প্রার্থী আরশনুর কৌরকে (Arshnur Kaur) ভারতীয় সেনাবাহিনীর জাজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (জেএজি) পদে নিয়োগ করতে হবে বলে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court docket)। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে পুরুষ-নারী প্রার্থীদের একসঙ্গে মিলিয়ে যৌথ মেধাতালিকা প্রকাশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত (Dipankar Dutta) ও বিচারপতি মনমোহনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জেএজি পদ লিঙ্গ-নিরপেক্ষ (‘জেন্ডার নিউট্রাল’) হলেও মহিলা প্রার্থীদের জন্য আসন সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অর্ধেক রাখা অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক। এই নীতি সংবিধানের সমতার অধিকারের বিরোধী। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘যে দেশে রাফাল ওড়াতে মহিলাদের বাধা দেওয়া হয় না, সেই দেশে সেনাবাহিনীতে তাঁদের নিয়োগে বাধা দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই।’
নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগে মামলা করেছিলেন আরশনুর কৌর ও আরেকজন মহিলা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, মেধাতালিকায় যথাক্রমে ৪র্থ ও ৫ম স্থানে তাঁরা থাকা সত্ত্বেও মহিলা কোটায় কম আসনের জন্য নির্বাচিত হতে পারেননি। অথচ সেখানে পুরুষ কোটায় বেশি আসন থাকায় সুযোগ পেয়েছেন কম মেধার পুরুষ প্রার্থীরা।
আদালত দ্বিতীয় আবেদনকারীকে স্বস্তি না দিলেও প্রথম আবেদনকারী আরশনুরকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) ঐশ্বর্য ভাটির (Aishwarya Bhati) দাবি ছিল যে, জেএজি পদগুলি লিঙ্গ নিরপেক্ষ এবং ২০২৩ সাল থেকে নির্বাচনের অনুপাত ৫০:৫০। কিন্তু আদালত এই বক্তব্য খারিজ করে দেয়।
কিন্তু সেনাবাহিনীতে এই জেএজি অফিসারদের কাজ কী? জেএজি অফিসাররা সেনা কর্তৃপক্ষকে আইনি পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি শৃঙ্খলা ও মানবাধিকারের বিষয়েও নজরদারি করেন।