Summer season trip | গ্রীষ্মের ছুটি শেষেও স্কুলমুখো নয় পড়ুয়ারা, বৈষ্ণবনগরে উদ্বেগে শিক্ষকরা

Summer season trip | গ্রীষ্মের ছুটি শেষেও স্কুলমুখো নয় পড়ুয়ারা, বৈষ্ণবনগরে উদ্বেগে শিক্ষকরা

ব্লগ/BLOG
Spread the love


বৈষ্ণবনগর : গ্রীষ্মের দীর্ঘ ছুটির পর স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের উপস্থিতি তলানিতে। স্কুলের এমন হালে উদ্বিগ্ন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিভিন্ন স্কুলে তালা খুলেছে ঠিকই। কিন্তু শ্রেণিকক্ষগুলো এখনও ফাঁকা।  শিক্ষকরা স্কুলে হাজির। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দেখা মিলছে না বললেই চলে। শিক্ষকরা ক্লাস নিলেও অধিকাংশ বেঞ্চ ফাঁকা। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবছর গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর প্রথম ক’দিন পড়ুয়াদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকে। তবে এবছর তা অতীতের তুলনায় অনেক বেশি। এই এলাকার বেশিরভাগ পরিবারই মৌসুমি ফলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। জুন মাসে এখানে আম ও লিচু সংগ্রহ, প্যাকিং ও বাজারজাত করার কাজের চাপ থাকে। এই সময়ে একাজে পরিবারের বড়দের সঙ্গে হাত লাগায় স্কুল পড়ুয়ারাও।  ফলে স্কুল পড়ুয়ারা স্কুলে না গিয়ে বাগানে, হাটে কাজ করছে। বৈষ্ণবনগর হাইস্কুলের এক অভিভাবক জয়ন্ত লালা বলেন, ‘এই সময় ছেলেমেয়েরা কাজ করলে সংসারে কিছুটা সাহায্য হয়। কিছু বাড়তি রোজগার হয়। স্কুলে তো পরেও যাওয়া যাবে। কিন্তু মরশুম একবারই আসে। গরমে এমনিতেই স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। তার ওপর রোজগারের সুযোগ থাকলে আমরা ওদের কাজে নিয়ে যাই।’

গরমের ছুটির পর স্কুল খুললে দেখা যায় লক্ষ্মীপুর হাইস্কুলের ৩২০০ পড়ুয়ার মধ্যে প্রথম দিনে উপস্থিতি ছিল ৫০। আর দ্বিতীয় দিনে ১৫০। পারলালপুর হাই মাদ্রাসার ২৯০০ জন ছাত্রের মধ্যে প্রথম দিনে উপস্থিতি ৬০,  দ্বিতীয় দিনে ১২৯।  শিমুলতলা হাই মাদ্রাসার ১৬২৫ পড়ুয়ার মধ্যে প্রথম দিনে উপস্থিতি ছিল ৬০০, দ্বিতীয় দিনে ৭৫০। বীরনগর হাইস্কুলের ২৬০০ পড়ুয়ার মধ্যে প্রথম দিনে উপস্থিতি ছিল ১০০ ও দ্বিতীয় দিনে ২৫০। বৈষ্ণবনগর হাইস্কুলের ৩২০০ পড়ুয়ার মধ্যে প্রথম দিনে উপস্থিতি ছিল ৩৪৯  ও দ্বিতীয় দিনে ৭১০।

এই প্রবণতা দীর্ঘমেয়াদে পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি করছে বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলছেন, ছাত্রদের ফিরিয়ে আনতে অভিভাবকদের বোঝাতে হবে, সচেতন করতে হবে। বীরনগর হাইস্কুলের শিক্ষক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘আমরা অভিভাবকদের সচেতন করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। পড়ুয়াদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা মৃণাল বিশ্বাসের কথায়, ‘পড়াশোনার চেয়ে মৌসুমি অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়া যদি পরিবারের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়, তাহলে শিক্ষার প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। সময় থাকতেই এই প্রবণতা রুখতে সচেতনতা ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ জরুরি।’ এবিষয়ে অধ্যাপক শেখ শামীম আখতারের বক্তব্য, ‘এমন প্রবণতা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। যা দীর্ঘমেয়াদে সমাজের জন্য ক্ষতিকর। প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতৃত্বের সম্মিলিত উদ্যোগেই এই সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা সম্ভব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *