বালুরঘাট: উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে ডাক পাননি বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন বিজেপি বিধায়ক। ডাকা হয়নি বালুরঘাটের বালুছায়ায় ভার্চুয়ালি প্রশাসনিক বৈঠকেও। অথচ ভার্চুয়ালি বৈঠকের প্রথম সারিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের ভাই শার্দুল মিত্রকে। তিনি কোনও জনপ্রতিনিধি বা সরকারি আধিকারিক না হয়েও কেন তাঁকে ডাকা হল তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন জেলা বিজেপির নেতা কর্মীরা। যাকে ঘিরে জেলায় নতুন করে শোরগোল পড়েছে। শুধুমাত্র মন্ত্রীর ভাই বলেই কি জেলা প্রশাসনের তরফে শার্দুলকে সামনের সারিতে বসানো হয়েছে? প্রশ্ন বিজেপির।
বুধবার, সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্ন উত্থাপন করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এদিন তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবথেকে বেশি বিধায়ক ও সাংসদ বিজেপির। অথচ আজকের প্রশাসনিক সভায় কোনও, বিধায়ক ও সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আসলে প্রশাসনিক বৈঠকের নামে হয়েছে তৃণমূলের সভা। যদি প্রশাসনিক বৈঠক হত তাহলে সেখানে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরাই আমন্ত্রণ পেতেন। জনপ্রতিনিধি ছাড়া কীভাবে এলাকার উন্নয়ন সম্ভব বা উন্নয়নের মিটিং সম্ভব তা আমার জানা নেই।’
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘আমি কলকাতা থেকে ছুটে এসে যদি মিটিংয়ে জয়েন করতে পারি। সুকান্তবাবু তো বালুরঘাটেই ছিলেন। তিনিও আসতে পারতেন। কেউ তাকে আসতে মানা করেনি। তিনি যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে মিটিং করেন তখন কে কে থাকবে, না থাকবে সে তো তিনিই সিদ্ধান্ত নেন। আর আমার ভাই আমার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভার্চুয়ালি বৈঠকে এবং থাকতেই পারে।’