বালুরঘাট: বেলবন্ডে সই করে থানা থেকে জামিন নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। শনিবার কসবাকাণ্ডে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে গড়িয়াহাটে। গড়িয়াহাটে মিছিল শুরু হওয়ার আগেই বিজেপি নেতা কর্মীদের আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙতেই অ্যাকশনে নেমে পড়ে পুলিশ। একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মীকে পাকড়াও করা হয়। আটক করা হয় সুকান্ত মজুমদারকেও। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে। পরে কসবা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সুকান্তকে। কিন্তু জানা গেছে, খাতায় কলমে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ব্যক্তিগত জামিনে সুকান্তকে ছেড়ে দিতে চায় পুলিশ। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার এদিন বেলবন্ডে সই করতে রাজি হননি। রাত ১০ টা পর্যন্ত তিনি কসবা থানাতেই আছেন বলে জানা গেছে। সুকান্তর মুক্তির দাবিতে বিজেপি নেতা কর্মীরা থানায় থানায় বিক্ষোভ শুরু করেছে। সুকান্ত নিজে জানিয়েছেন, চলতি মাসে চারবার তাঁকে পুলিশ একই ভাবে আটক করে নিয়ে গিয়ে দিনভর বসিয়ে রেখে পরে বেলবন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু এদিন আর তিনি বেলবন্ডে সই করবেন না। পুলিশ চাইলে তাকে গ্রেপ্তার করুক। এদিকে সুকান্তকে মুক্ত করার দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
সুকান্ত মজুমদারের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে বালুরঘাট থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপি। শনিবার রাত সাড়ে নটার দিকে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রয়েছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী, প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার সহ অন্যান্যরা। থানার সামনে আবার নতুন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সাফ দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। একই ভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে রায়গঞ্জ থানার সামনেও। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিজেপি নেতা কর্মীরা।