ভাস্কর বাগচী, শিলিগুড়ি: ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে কোনও বাংলাদেশি যদি আশ্রয়ের জন্য ভারতে আসেন তবে তিনি উদ্বাস্তু। তঁার সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করা উচিত। আর ২০১৪-র আগে কেউ এসে থাকলে তিনি তো সিএএ-র মাধ্যমে ভারতের নাগরিক। শুক্রবার শিলিগুড়ির খাপরাইলে একটি হোটেলে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত হয় বাজেট আড্ডা। সেখানে এমন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি তিনি এ কথাও বলেছেন, ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তার করা উচিত।’
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে তার আগে পদ্মের রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘পাগলের প্রলাপ বকছেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের খেঁাজে পরিযায়ী শ্রমিকরা অন্য রাজ্য চলে যাচ্ছেন। তঁাদের ভোটার কার্ড বিভিন্ন সময়ে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ যদি কাজের খেঁাজে বাইরে যান, তবে কি পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাঁর নাগরিকত্ব বাদ পড়ে যাবে? তাঁরা যে কোনও সময়ে বাংলায় ফিরে আসতে পারেন। এটা তাঁদের অধিকার।’
এদিন ভূতুড়ে ভোটার প্রসঙ্গে পদ্মের রাজ্য সভাপতির ব্যাখ্যা, ‘মুখ্যমন্ত্রী ডিএম, এসপিদের নিয়েই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেন। এঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়ে বলেছেন, তাঁর (মমতা) অবস্থা এবার খারাপ। মুখ্যমন্ত্রীর গণেশ ওলটাবে।’ এদিকে, সুকান্তের মন্তব্যে অতটা গুরুত্ব দিতে নারাজ শিলিগুড়ির মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। তাঁর বক্তব্য, ‘বাংলায় উগ্র ধর্মান্ধতা কোনওদিন প্রশ্রয় পায়নি। কেন্দ্রের শাসকদলের কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। ধর্মকে সামনে রেখে ওরা ভোটে লড়তে চাইছে।’