সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশির ভাগ হিন্দু গৃহস্থ-বাড়ির উঠোনেই তুলসী মঞ্চ দেখা যায়। তুলসী চারা রোপণ করে প্রতি সন্ধ্যায় শাঁখ বাজিয়ে পুজো দেন বাড়ির মহিলারা। দেবী লক্ষ্মীর আরেক রূপ ও বিষ্ণুর সহধর্মিণী হিসেবে পুজো করা হয় তুলসীকে। বাঙালির ঘরে এ দৃশ্য চিরন্তন। শুধুমাত্র ধর্মীয় ক্ষেত্রে নয়, বাস্তুশাস্ত্র মতেও এর সঠিক অবস্থান ও পরিচর্যা গৃহে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে। কিন্তু যদি কখনও দেখেন আপনার গৃহের তুলসী চারাটি হঠাৎই শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে, কিংবা গাছটির আকস্মিক পরিবর্তন ঘটছে, তাহলে আগাম সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ তা বাস্তুদোষের লক্ষণ। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন না হলে আগামীতে আপনার বাস্তু নেতিবাচক শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। যার জন্য আপনার বাড়ির সুখ-শান্তি নষ্ট হবে অচিরেই। কী এই লক্ষণগুলি? আসুন, জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমত, যদি আপনার বাড়ির তুলসী গাছ হঠাৎ করে শুকিয়ে যেতে শুরু করে, অথবা পাতা হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে, তবে এটি আর্থিক সংকটের আগাম ইঙ্গিত বলে মনে করা হয়। গাছ শুকিয়ে যাওয়া বা সতেজতা হারানোর অর্থ হল গৃহের ইতিবাচক শক্তির হ্রাস ও নেতিবাচক শক্তির উত্থান। এটি পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যহানি বা ব্যবসায় ক্ষতির পূর্বাভাসও হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, যদি তুলসী গাছের চারপাশে অতিরিক্ত পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গের উপদ্রব দেখা যায়, তাহলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তুলসীর ঔষধি গুণের জন্য অনেক কীটপতঙ্গই এই গাছের কাছে ঘেঁষে না। তাই যদি হঠাৎ তুলসীর চারপাশে পোকামাকড়ের উপদ্রব ঘটে, তাহলে তা বাস্তুর ক্ষেত্রে অশুভ। এটি পারিবারিক কলহ বা গৃহের সদস্যদের মধ্যে মানসিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
তৃতীয়ত, যদি তুলসী গাছ অস্বাভাবিকভাবে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তারপরে হঠাৎ করে মরে যায়, তাহলে সেটিও বাস্তুদোষের একটি লক্ষণ। অতিরিক্ত দ্রুত বৃদ্ধি অনেক সময় ক্ষণস্থায়ী ইতিবাচকতার ইঙ্গিত দেয়, যার পর পরই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বাস্তুমতে এটি সম্পর্কের টানাপোড়েন বা আইনি জটিলতার ইঙ্গিত হতে পারে।
চতুর্থত, যদি তুলসী গাছ সঠিক যত্ন সত্ত্বেও ঠিক মতো বৃদ্ধি না পায় বা দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে তা গৃহের সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এমন ক্ষেত্রে গৃহে রোগ-ব্যাধি বা অর্থহানি দেখা দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলি দেখা গেলে অবিলম্বে প্রতিকার করা উচিত। এর মধ্যে বাস্তুর সঠিক কোণে তুলসী চারা রোপণ, নিয়মিত পরিচর্যা ও নিয়ম মেনে পুজো দিতে হয়। এই বিষয়গুলো মেনে চললে বাস্তুদোষের নেতিবাচক প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন