উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে আরসিবির জয় উদযাপনকে কেন্দ্র করে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের (Stampede in Bengaluru)। আহতও হয়েছেন অনেকে। কিন্তু এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাঝেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অব্যাহত ছিল আরসিবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই সঙ্গে ভিড় সামলাতে কেন ব্যর্থ হল পুলিশ, তা নিয়েও কর্ণাটক সরকারকে নিশানা করেছে বিজেপি। এরই মাঝে দায় এড়াতে কুম্ভমেলার (Kumbh) প্রসঙ্গ টেনে সাফাই দিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Karnataka CM Siddaramaiah)।
বুধবারের ঘটনার পর সাংবাদিক বৈঠকে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘এরকম ঘটনা অনেক জায়গায় ঘটেছে। তবে সেই ঘটনাগুলি টেনে আমি এই ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছি না। কিন্তু কুম্ভমেলাতেও তো ৫০-৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু আমি তো সমালোচনা করিনি। কংগ্রেস যদি সমালোচনা করে, তাহলে সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু আমি বা কর্ণাটক সরকার কি সমালোচনা করেছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার দায় এড়াতে চাইছি না। তবে এটা নিয়ে রাজনীতিও করতে চাই না। আমি বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট এসে যাবে।’ সেই সঙ্গে উলটে জনতাকেই দায়ী করে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘লোকজন স্টেডিয়ামের গেটও ভেঙে ফেলেছিল। এত জনসমাগম কেউ আশা করেনি। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ছিল মাত্র ৩৫ হাজার। কিন্তু প্রায় তিন লক্ষ মানুষ সেখানে এসেছিল।’ ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছে বিজেপি (BJP)। সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের পদত্যাগের দাবি করেছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা আর অশোক। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের মধ্যে চলমান গোপন লড়াই একটি কৃতিত্বের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। যার ফলেই এই বিশৃঙ্খলা।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসবের জন্য দায়ী কে? যদি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের মানবতা বা বিবেক থাকে, তাহলে তাঁদের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’ কুম্ভ নিয়ে সিদ্দারামাইয়ার প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে বিজেপির প্রবীণ নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, ‘তুলনা টেনে ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না সিদ্দারামাইয়া। পদপিষ্টের ঘটনার পরও কেন উদযাপন চালিয়ে যাওয়া হল? উপমুখ্যমন্ত্রী কেন আনতে গেলেন? সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী ঘটেছে তা নিয়ে কেউ চিন্তিত নন। সকলে সেলফি নিতেই ব্যস্ত।’ অন্য বিরোধী দলগুলিও নিশানা করতে ছাড়েনি কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারকে।