উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন যে, যথাক্রমে ২৫ ও ২০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হবে চাকরিহারা গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদের। সেই মতো গত শুক্রবার এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য। এবার রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি করেছেন সোমনাথ মণ্ডল সহ বেশ কিছু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, ভাতা দেওয়া হলে তা প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীকেই দেওয়া হোক। নয়তো বাতিল করা হোক রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত। আগামী ১০ জুন হাই কোর্টে গরমের ছুটি শেষ হওয়ার পরে এই মামলাটির শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এসএসসি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের যাতে বেতন দেওয়া হয়। তবে চাকরিহারা গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। এই আবহেই এই গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদের মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধেন্ত নেয় রাজ্য সরকার। জানানো হয় যে, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টেরিম স্কিম, ২০২৫’ প্রকল্পের অধীনে ওই ভাতা দেওয়া হবে। যা কার্যকর হবে এপ্রিল মাস থেকে। এমত পরিস্থিতিতে বঞ্চিত চাকরিহারাদের একাংশের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। এমত অবস্থায় ওই কর্মীদের ভাতা দেওয়া কতোটা যুক্তিযুক্ত। যদিও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সাফাই, তাঁরা চাকরিহারাদের প্রতি সমবেদনার থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করা হয়েছে। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্তই এই ভাতা দেওয়া হবে, একান্তই মানবিক কারণে।
মামলাকারীদের তরফের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের ফলে চাকরি চলে গিয়েছে তার পরেও কীভাবে ভাতা দেওয়া হয়? ভাতা দিতে হলে সবাইকে দেওয়া দরকার। তাতে নির্দিষ্ট করে কারও অধিকার থাকতে পারে না।’