উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে, এমন কোনও কাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। শনিবার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) একথাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েক (Anura Kumara Dissanayake)।
এদিন দিশানায়েক বলেন, ‘আমি শ্রীলঙ্কার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলছি যে, ভারতের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর কোনও উপায়ে শ্রীলঙ্কার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’ বিগত কয়েক বছর ধরেই শ্রীলঙ্কার জলসীমায় ঘুরপাক খেয়েছে চিনের বেশ কিছু জাহাজ। এমনকি শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের একাংশ ইজারা নিয়েছে চিন। যা ভারতের কাছে উদ্বেগের বিষয়। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার উপর চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে ভারতের উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত করতেই একথা বলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
‘বিমস্টেক’ সম্মেলন শেষেই শুক্রবার রাতে থাইল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন মোদি। শুক্রবার কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সাদর অভ্যর্থনা জানান শ্রীলঙ্কার পাঁচ মন্ত্রী। শনিবার সকালে ইনপেন্ডেন্স স্কয়ারে মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান দিশানায়েক। এরপর বৈঠকে বসেন দুই রাষ্ট্রনেতা। আর শনিবারের বৈঠকের পরই প্রথমবার ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশ ত্রিনকোমালিকে একটি জ্বালানি কেন্দ্র গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। মোদি ও দিশানায়েকে সামপুর সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধনও করেছেন, যা দুই দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে। তাছাড়া মোদি ও দিশানায়েকের বৈঠকে উঠে এসেছে মৎস্যজীবীদের প্রসঙ্গও। সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে অনেকসময়ই ভারতীয় মৎস্যজীবীরা ভুলবশত শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করে ফেলেন। এমন অনেক ভারতীয় মৎস্যজীবীই শ্রীলঙ্কায় জেলবন্দি। তাঁদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার কথাও বৈঠকে বলেছেন মোদি।