উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাচার করা হচ্ছিল গোপন তথ্য (Spying)। এই অভিযোগেই এবার দিল্লিতে নৌসেনার সদর দপ্তরে নিযুক্ত এক অসামরিক কর্মীকে (Navy staffer) বুধবার গ্রেপ্তার করেছে রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (Rajasthan Police)। এমনকি ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীনও সংবেদনশীল তথ্য অভিযুক্ত ব্যক্তি পাকিস্তানে (Pakistan) পাচার করেছিলেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিশাল যাদব। তিনি হরিয়ানা বাসিন্দা। দিল্লিতে নৌসেনার সদর দপ্তরে একজন আপার ডিভিশন ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে দীর্ঘদিন ধরেই তার উপর নজরদারি চালাচ্ছিল রাজস্থানের সিআইডি। এরপর হাতেনাতে প্রমাণ পেতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
রাজস্থানের পুলিশ আধিকারিক বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত জানিয়েছেন, প্রিয়া শর্মা নামে পাক গোয়েন্দা সংস্থার এক মহিলা হ্যান্ডলারের (Pakistani feminine handler) সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বিশালের। নৌসেনার অভিযান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের বিনিময়ে অভিযুক্ত বিশালকে ওই মহিলা অর্থের প্রলোভন দেখিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তে উঠে এসেছে যে, অনলাইন গেমিংয়ে আসক্ত ছিলেন অভিযুক্ত নৌসেনা কর্মী। তাই আর্থিক চাহিদা মেটাতে নৌসেনার সংবেদনশীল তথ্য পাচার করা শুরু করেন তিনি। আর এই তথ্যের বিনিময়ে তাকে কখনও ক্রিপ্টোকারেন্সির (Cryptocurrency) মাধ্যমে, আবার কখনও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হত।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের মোবাইলের চ্যাট রেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, অপারেশন সিঁদুরের সময়ও নৌসেনার সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ধৃত পাক গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত ছিলেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে জয়পুরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অভিযুক্ত নৌসেনা কর্মী বিশাল যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ঠিক কতদিন ধরে এই তথ্য পাচার চলছিল, এই চক্রে জড়িত বাকিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কতটা গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে, সেদিকটিও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।