সোনাপুর: আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের মথুরা হাট দীর্ঘদিন থেকে বেহাল। জায়গায় জায়গায় জলকাদা জমে তা ব্যবসায়ীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে হাটের নালা সংস্কার না হওয়ায় জল আটকে রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই জলের পাশেই দোকান বসছে। অন্যদিকে, হাটে বেশ কয়েকটি নতুন শেড তৈরি হয়েছে।
তবে সেগুলোর দেখভালও ঠিক করে হয় না বলে অভিযোগ। শেডের মাঝেও বিভিন্ন জায়গায় কাদা আটকে রয়েছে। সেটা দিয়েই হেঁটেই যাতায়াত করতে হচ্ছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হাটে আসা স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, একদিকে যেমন প্রশাসন হাট সংস্কারের দিকে নজর দেয় না, অন্যদিকে হাট কমিটিও মোটা টাকা খাজনা নিলেও হাটের দেখভালে কোনও খরচ করে না।
এদিন ভূপেন বর্মন নামে এক ছাতা বিক্রেতার কথায়, ‘একটু বৃষ্টি হলেই হাটে কাদা হয়। তখন তো আর কাদা পার করে কেউ কেনাকাটা করতে আসে না। এই বিষয়গুলো দেখা দরকার।’ একই রকম কথা বলেন স্বপন সরকার, আলোক বিশ্বাসদের মতো ব্যবসায়ীরাও। হাটের এই অবস্থার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সমস্যা যে রয়েছে সেটা মানছেন হাট কমিটিও। এদিন ওই কমিটির সদস্য উৎপল বৈদ্য বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতের ফান্ড কম তাই তাঁরা ঠিক করে কাজ করতে পারে না। ৩-৪ বছর হাটের নালা পরিষ্কার হয়নি। সেজন্য আরও বেশি সমস্যা হচ্ছে। জল বের হওয়ার কোনও রাস্তাই নেই।’
অন্যদিকে, মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফুলচান ওরাওঁ সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘হাটে বিভিন্ন সময় পরিষ্কার করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই হাটের আবর্জনা সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন বাকি সমস্যাও মিটে যাবে।’
সোমবার বিকিকিনিতেও কিছুটা হতাশ ছিলেন হাটের ব্যবসায়ীরা। এদিন বৃষ্টিতে সকালে হাট জমেনি। বিকেলে আকাশের মুখ ভারের মাঝেই বিক্রিবাটা চলছিল। তবে সন্ধ্যার বৃষ্টিতে তাল কাটে। এদিন এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাটের দুর্দশার ছবি দেখালেন ব্যবসায়ীরা। হতাশার সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, একদিকে বৃষ্টি, অপরদিকে হাটের বেহাল অবস্থায় তাঁরা নাজেহাল।
এদিন হাটে আসা স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, প্রতিবছর বর্ষায় হাটের বেহাল অবস্থা থাকেই। হাটের কিছু অংশে পেভার্স ব্লকের রাস্তা করা হলেও আরও ওই রকম রাস্তা বা কংক্রিটের রাস্তা প্রয়োজন। এছাড়াও প্রয়োজন রয়েছে আরও শেডেরও। একই রকম কথা হাটে আসা ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। ফলে সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাবসায়ীদের দাবি জোরালো হচ্ছে।