SJDA | এসজেডিএতে ঘুঘুর বাসা, এলইউসিসি পেতে ‘খুশি’ করতে হচ্ছে আধিকারিকদের

SJDA | এসজেডিএতে ঘুঘুর বাসা, এলইউসিসি পেতে ‘খুশি’ করতে হচ্ছে আধিকারিকদের

শিক্ষা
Spread the love


রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: উন্নয়নমূলক কাজ বলতে কিছুই নেই। একমাত্র কাজ এলইউসিসি (ল্যান্ড ইউজ কম্প্যাটিবিলিটি সার্টিফিকেট) দেওয়া। কিন্তু শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওই এলইউসিসি দেওয়ার দপ্তরে ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই বিভাগে সাধারণ মানুষ নয়, দালালদের কাজই আগে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। তার বিনিময়ে দপ্তরের কর্মীদের একাংশ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এমনকি এলইউসিসি নিতে গেলেই ঘোরানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে আধিকারিকদের একাংশকে ‘খুশি করতে’ পারলেই দ্রুত এলইউসিসি মিলে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ির বাস্তুকার ও আর্কিটেক্টদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ জমেছে।  দিনের পর দিন এই পরিস্থিতির বদল না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। অভিযোগ, এসজেডিএ-র গড়িমসির জন্য রাজগঞ্জ ব্লকের প্রায় ২৫০টি এলইউসিসি আটকে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিবকে চিঠি দিচ্ছে শিলিগুড়ি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক দুলালচন্দ্র নিয়োগীর বক্তব্য, ‘আমাদের আন্দোলনের পর আগের থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলালেও এখনও এলইউসিসি পেতে সমস্যা হচ্ছে। রাজগঞ্জের প্রায় ২৫০ এলইউসিসি এখনও আটকে রয়েছে।’

বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অর্চনা ওয়াংখেড়ের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন কেটে দেওয়ায় বক্তব্য মেলেনি।

শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকা এবং ব্লকগুলিতে কোনও বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করতে হলে আগে এসজেডিএ থেকে এলইউসিসি নিতে হয়। সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে এই সার্টিফিকেট নিতে হয়। সব মিলিয়ে এলইউসিসি আসতে সর্বোচ্চ দেড় মাস সময় লাগার কথা। অভিযোগ, এসজেডিএ-তে প্ল্যানিং বিভাগে মাসের পর মাস আটকে থাকছে এলইউসিসিগুলি। কিন্তু কোনও ‘দালাল’ মারফত গেলেই অনায়াসে মিলছে এলইউসিসি। অবশ্য তার জন্যে মোটা টাকা দিতে হচ্ছে। নির্ধারিত ফি-র থেকে বেশি টাকা দালালকে দিলে মাসখানেকের মধ্যেই এলইউসিসি হাতে চলে আসে বলে অভিযোগ। ওই বিভাগে একজন মহিলা সমেত মোট তিনজন প্ল্যানার (বাস্তুকার) রয়েছেন, যাঁরা এলইউসিসি দেওয়ার কাজগুলি দেখাশোনা করেন। এসজেডিএ-তে এই সমস্যার ফলে মাঝে একবার মাটিগাড়া ব্লক সিদ্ধান্ত নেয়, তারা ব্লক থেকেই এলইউসিসি দেবে। মাটিগাড়ার দেখাদেখি বাকি তিনটি ব্লকও একই সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় তড়িঘড়ি কলকাতায় পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিবের সঙ্গে কথা বলে তৎকালীন বোর্ড ফের পুরোনো প্রথা ফিরিয়ে আনে। আগে রাজগঞ্জ ব্লকের এলইউসিসি সেখানকার ব্লক অফিস থেকেই দেওয়া হত। কিন্তু গত বছরের ৮ জুলাই ফের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করে রাজগঞ্জ থেকে এলইউসিসি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই এলইউসিসি-ও এসজেডিএ থেকে দেওয়া হবে বলে নির্দেশিকা জারি হয়। কিন্তু নির্দেশিকার আগে পর্যন্ত প্রায় ২৫০টি এলইউসিসি-র ফি কেটে কাগজ জমা রয়েছে রাজগঞ্জে। সেগুলির কোনও ব্যবস্থাই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এসজেডিএ দায় চাপাচ্ছে রাজগঞ্জ ব্লকের ঘাড়ে। আবার ব্লক থেকে বলা হচ্ছে, এসজেডিএ থেকেই এলইউসিসি দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে এসজেডিএ-র ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *