শীতলকুচি: স্বামী ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহুদিন, মেয়ের বিয়ে হয়েছে অন্যত্র। ছেলে ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক। বাড়িতে একাই থাকতেন শিউটি খাতুন বিবি (৪০)। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ উদ্ধার হল শিউটির ক্ষতবিক্ষত দেহ। ঘটনাটি শীতলকুচি দক্ষিণ পাড়া এলাকার। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কোচবিহার মেডিকেল কলেজে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান খুন করা হয়েছে মহিলাকে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শীতলকুচি দক্ষিণ পাড়া এলাকায় একাই থাকতেন শিউটি খাতুন বিবি। প্রায় ১২ বছর আগে পরকীয়ার কারণে স্বামীর সঙ্গে সংসার ভাঙে তাঁর। স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র সংসার শুরু করেছে। মহিলার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, ছেলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। শিউটি বাড়িতে একাই থাকে। সেলাই ও একটি এনজিওতে কাজ করে নিজের পেট চালাতেন। এদিন বেলা ১১টা বেজে গেলেও ঘরের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। অনেক ডকাডাকি করলেও মহিলা সারা না দেওয়ায় পুলিশকে খবর দেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন বাড়ির গেটে ভিতর দিয়ে তালা লাগানো। পরে পুলিশ দেওয়াল টপকে বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখেন মহিলার দক্ষিণ ঘরের দরজা খোলা। সেই দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। দেখেন ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে মহিলার ক্ষত বিক্ষত দেহ। কি কারণে খুন হতে হল শিউটিকে তা নিয়ে প্রতিবেশী ও তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তবে কেউই প্রকাশ্য মুখ খুলতে চাইছেন না।
তবে পুলিশ সূত্রে খবর, শিউটির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় নিচে কালো দাগ ও চোয়াল ফুলে গিয়েছে। মহিলার মাথাতেও আঘাতে করা হয়েছে। তবে তাঁর ঘরের কোনো জিনিস পত্র খোয়া যায়নি। তবে মহিলার মোবাইল ফোন খুঁজে পায়নি পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শিউটি একা থাকলেও বাড়িতে অনেকের যাতায়াত ছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা মহিলাকে খুন করল, বা খুনের পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে পুলিশ এখনও কাউকেই আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কোচবিহার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।