SIR | ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচন কমিশন

SIR | ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ, এসআইআর শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য নির্বাচন কমিশন

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের ২৪ টি জেলায় ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। তবে রাজ্যের প্রায় ৫ শতাংশ জেলায় এই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি এখনও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে (https://ceowestbengal.nic.in/roll_dist) গিয়ে দেখা যাবে এই তালিকা। প্রসঙ্গত, এসআইআর (SIR)-কে কেন্দ্র করে চলতে থাকা বিতর্কের মাঝেই এই তালিকা প্রকাশ করা হল।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব জেলা থেকে আসা এসআইআর-প্রস্তুতি সংক্রান্ত রিপোর্ট সবিস্তারে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্যের সিইও দপ্তর। এর পাশাপাশি সিইও দপ্তরের তরফে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যদি রাজ্যে এসআইআর শুরু হয়, সেক্ষেত্রে সব দিক দিয়েই প্রস্তুত রয়েছে রাজ্যের সিইও দপ্তর। প্রসঙ্গত, ভোটার লিস্ট সংশোধন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে বুধবার চিঠি পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন এও নির্দেশ দিয়েছিল যে, এবার থেকে কোনও বুথেই ১২০০ জনের বেশি ভোটার থাকবে না। সূত্রের খবর, সেই নির্দেশিকা মেনেই রাজ্যের বুথ সংখ্যা ৮০,৬৮০ টি থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ৯০ হাজারের কিছু বেশিতে। ইতিমধ্যেই সেই বর্ধিত বুথের বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সকল স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছে।

সিইও দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা হবে সম্পূর্ণ সুসংগঠিত। সিইও-র নেতৃত্বে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (DEO), অতিরিক্ত জেলাশাসক, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার, অতিরিক্ত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাবেন। প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে একটি ফর্ম পূরণ করা হবে এবং তা যাচাই করা হবে।

তবে ২০০২ সালের প্রকাশিত এসআইআর তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের অতিরিক্ত নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এমনকি, যাদের অভিভাবকদের নাম সেই তালিকায় আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। তবে, যারা নতুন ভোটার, অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন অথবা ২০০২ সালের তালিকায় যাদের নাম নেই, তাঁদের পৃথক ফর্ম ও নথি জমা দিতে হবে। অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেও এই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বুথ স্তরের প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষ এসআইআর (SIR) হয়েছিল ২০০২ সালে। সম্প্রতি বিহারে চালু হয়েছে এসআইআর। এরপর দেশের অন্যান্য রাজ্যেও চালু হবে এই প্রক্রিয়া, এমনটা জানিয়েছেন কমিশনের এক কর্তা। কমিশন জানিয়েছে, এই সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য, ভোটার তালিকা থেকে মৃত,ভুয়ো এবং অন্য ঠিকানায় চলে যাওয়া বা বাসস্থান পরিবর্তন করা ভোটারদের চিহ্নিত করা। বিহারের খসড়া তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই বাদ পড়েছেন প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটার। সেই আবহেই এবার পশ্চিমবঙ্গেও প্রকাশিত হয়ে গেল ২৪ টি জেলার ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *