স্টাফ রিপোর্টার: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে এসআইআর হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। যে পদ্ধতিতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে বৈধ ভোটার বাদ পড়ার আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কা থেকে এবার বাংলায় দলের ‘মুখপাত্র সেনা’ তৈরির কাজ সেরে নিল প্রদেশ কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, বাংলা থেকেই এই পর্ব শুরু হল। এরপর হবে অসমে। পরপর হবে বাকি রাজ্যগুলিতেও। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে যার চূড়ান্ত বাছাই পর্ব হয়ে গেল। সাকুল্যে ৭০ জনের টিম তৈরি হয়েছে বাংলায়। এই তালিকা এআইসিসির অনুমোদন পেলে দশমীর পর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মুখপাত্র বাছাইয়ের জন্য দিল্লি থেকে কয়েকদিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন এআইসিসির জাতীয় মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মহিমা সিং। একসময় এআইসিসি-র তরফে দায়িত্ব পাওয়া অনেকেই যাঁরা দীর্ঘদিন দলের মুখপাত্রের কাজ সামলেছেন, তাঁদের কেউ কেউ এই নতুন পর্বে ঢুকতে রাজি হননি। মহিমা সিং এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা এই মুখপাত্র বাছাই পর্বে ঢুকতে রাজি হননি বা নতুন কমিটি নিয়ে যাঁদের আপত্তি থাকবে, তাঁদের নিয়ে দল দ্বিতীয় কোনও ‘বিকল্প’ ভাববে না। জাতীয় স্তরে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটির চেয়ারম্যান পবন খেরাও এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন। দেশজুড়ে একটি নিয়মেই এই কাজ চলবে। তাতে কারও আপত্তি গ্রাহ্য হবে না। কিছুদিনের মধ্যে দেশজুড়ে আউটরিচ কমিউনিকেশনের কমিটি হওয়ার কথা। পাশাপাশি নতুন করে গড়া হবে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনের কমিটি। প্রতি রাজ্যে এই কমিটির নির্দিষ্ট চেয়ারপার্সন থাকবেন।
এই কমিটিতে ১৫ জন মুখপাত্র, ১৫ জন টিভি প্যানেলিস্টের পাশাপাশি থাকবে একটি রিসার্চ টিমও। দলের প্রচার-সহ নানা কাজে তাঁরা ফিল্ড ওয়ার্ক টিমে থাকবেন। সেখানে নির্দিষ্ট যোগ্যতা অনুযায়ী বাকিরা জায়গা পাবেন। মহিমা জানিয়েছেন, একবছরের কম সময়ে যাঁরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা দলে ঢুকেই মুখপাত্র বা টিভি প্যানেলিস্ট হয়ে যেতে পারবেন না। অন্তত একটা বছর রাস্তায় নেমে সংগঠনের কাজ করতে হবে। উল্লেখযোগ্য, কংগ্রেস দলের সদস্য বা কর্মী নন, এমন দুজনের নামও প্রদেশ কংগ্রেসের চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছে। তবে প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরীর সময়ে যাঁরা মুখপাত্র ছিলেন, এমন কয়েকজনকে ‘হাতে-কলমে’ পরীক্ষা দিতে হয়েছে।