শিলিগুড়ি : সাতসকালে ভয়ঙ্কর কাণ্ড শিলিগুড়ি শহরে! চাকা খুলে গেল চলন্ত স্কুলবাসের। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইমোড়ে। সেই সময় বাসে প্রায় ২০ জন পড়ুয়া ছিল। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তারা। চালক কোনওরকমে বাসটিকে দাঁড় করায়। বাসের গতি কম থাকায় পড়ুয়ারা বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, এমনই বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে অন্য বাসে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। বাসটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও এবিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যদিনের মতো এদিনও পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল বাসটি। জলপাইমোড়ে আচমকা সেটির পেছনের ৪টি চাকাই খুলে যায়। চাকা ছাড়াই চলতে থাকে বাস। আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে বাসে থাকা প্রায় কুড়ি জন ছাত্রছাত্রী। চালক বাসটিকে কোনওমতে দাঁড় করাতে সমর্থ হন। ঘটনাকে ঘিরে হইচই পড়ে যায় জলপাইমোড়ে। স্থানীরা পড়ুয়াদের উদ্ধার করে বাস থেকে নামিয়ে আনেন। পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। বেসরকারি স্কুলটির তরফে পরে বিকল্প বাসের ব্যবস্থা করে পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়দের পাশাপাশি একাংশ অভিভাবকও। তাঁদের বক্তব্য গতি কম থাকায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। বাসের ফিটনেস ঠিক না থাকা এবং রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই এই ঘটনা বলে তাঁদের অনুমান। বাচ্চাদের জীবন এভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলা নিয়েও তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শিলিগুড়ি থানা এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।
